বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবকের নাম মো. তৈয়ব (৩৫)। সে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কম্বোনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছাবের আহমদের পুত্র।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি সীমান্তের ৪৬–৪৭ নাম্বার সীমান্ত পিলারের কাছে নো–ম্যান্স ল্যান্ডে আরাকান আর্মির পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হয়ে এক যুবকের ডান পায়ের গোড়া বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পথে মিয়ানমার থেকে গরু এবং বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাচারে জড়িত রয়েছে একটি চক্র। চোরাই পণ্য আনতে সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গেলে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চলতি মাসে আরও কয়েকবার মাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন আহত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুল হক জানান, মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর শুনেছি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ চাকঢলা সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ মোহাম্মদ সালাম নামে বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে ২৬ মার্চ লেমুছড়ি সীমান্তের ৪৯ পিলারের শূন্যরেখায় মাইন বিস্ফোরণ মোহাম্মদ বাবুল নামের আরেক বাংলাদেশি যুবকের বাম পায়ের গোড়ালি বিছিন্ন হয়ে যায়। ২১ মার্চ রাতে তুমব্রু সীমান্তের ভাজাবনিয়া চিতারকুম নামক এলাকায় জিরো লাইনের পাশে এক বাংলাদেশিসহ দুজন মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়।
