নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

হয়রানি করতেই খালেদা জিয়াকে জড়ানো হয়েছে মামলায় : আদালত

| বৃহস্পতিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেনতৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে থাকায় তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। খবর বাংলানিউজের।

রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি করা হয়েছে, পর্যবেক্ষণে বলেন বিচারিক আদালত। বিচারক রবিউল আলম বলেছেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। এমনকি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারও করেননি।

পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল। যেহেতু হাসিনার এ মামলা চলে নাই, তবুও খালেদা জিয়ার মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেখানেও বলেছেন তাকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২০ ফেব্রুয়ারি অগ্নিঝরা একুশের প্রতীক্ষায় ছিল পুরো জাতি
পরবর্তী নিবন্ধমাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা