নয়টি ব্যাংকের এক কোটি টাকার বেশি চেক অন্য ব্যাংকগুলোতে ক্লিয়ারিং বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলো হল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। তারা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার থেকেই এভাবে কাজ চলছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা এমডি বলেন, বুধবার সকাল থেকেই এই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো রকমের নির্দেশনা দেয়নি। তবে কোনো কোনো ব্যাংক হয়ত এক কোটি টাকার উপর চেক ক্লিয়ারিং করছে না ভিন্ন কোনো কারণে।
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা সাতটি ব্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে চলতি হিসাব ঋণাত্মক। তারপরেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে আসছিল। চলতি হিসাব ঋণাত্মক থাকলে সাধারণত নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারে না ব্যাংকগুলো। তবে এসব ব্যাংক এতদিন বিভিন্ন গ্রুপগুলোকে ঋণ বিতরণ করেছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে গ্রুপগুলোকে ঋণ দিয়েছে। এসব ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকার সরবরাহ না থাকার জন্য অন্য ব্যাংকগুলোতে চেক ক্লিয়ারিং করে আসছিল। এতদিন এসব ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংকে জমা দিয়ে যে কোনো পরিমাণের টাকা উত্তোলন করা যেত।
ব্যাংক পদ্মা ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে চলতি হিসাবে ঘাটতি না থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণ করতে পারছে না। এ কারণে তাদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।