এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৩ এর ফলাফল প্রকাশিত হয় ২৮ই জুলাই। গতবছরের তুলনায় পাশের হার ও জিপিএ দুটোই উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে এইবার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী গত ১০ই আগষ্ট অনলাইন কলেজ ভর্তি আবেদন কার্যক্রম শুরু হলে হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় সকল সরকারি এবং প্রাইভেট কলেজে ভর্তি যোগ্যতা চায় জিপিএ ৫। জিপিএ–৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা সকল বিষয়ে প্রতিটিতে ৮০ নম্বর পেয়ে প্রায় ১০০০ নম্বর এর মধ্যে জিপিএ–৫ পেয়েছে, আবার এমন কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা সব বিষয়ে ৯০ এর উপর পেয়েছে কিন্তু ২টি বা ৩টি বিষয়ে এ থাকার কারণে জিপিএ–৫ পায়নি কিন্তু তাদের মোট নম্বর (প্রায় ১২০০ এর কাছাকাছি) জিপিএ–৫ প্রাপ্তিদের তুলনায় বেশি। কলেজ ভর্তি আবেদন যোগ্যতায় জিপিএ–৫ উল্লেখ করে দেওয়ার কারণে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। এই কারণে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, তাদেরকে ভালো কলেজে ভর্তি আবেদন করা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বিনীত অনুরোধ, জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈষম্যতা না করে উত্তীর্ণ হওয়া সকল ছাত্রছাত্রীকে সকল কলেজে আবেদন করার সুযোগ করে দেওয়া। শহরের অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রী আশেপাশের কলেজগুলোতে ন্যূনতম ভর্তি আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জিপিএ–৫ কে গুরুত্ব না দিয়ে মোট নম্বর কে গুরুত্ব দেওয়াটা বেশি জরুরি। অভিভাবকেরা জানান তদের সন্তানের জিপিএ–৫ না থাকলেও মোট নম্বর অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। তাই নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়াটাই হবে উত্তম বিচার। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অনুরোধ জানাচ্ছেন নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম করে তাদের ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী
চট্টগ্রাম।