আমি স্বেচ্ছায় বরাবরই হাসি মুখে বরণ করি
সমুদ্রিত উপহার কষ্টকে।
বহু ব্যর্থতা, বহু বেদনার বাহুল্যে– বর্বর ধরণীতে
মনে করি, এ– ই বুঝি –
আমার জীবন অচল, অনঢ় আর অসহ
ভাসি নয়ননীরে!
এর– ই মাঝে দ্যূতি এসে পথ দেখায় –
জ্বালে আশার প্রদীপ্ত প্রদীপখানি।
ফুলন্ত ফলন্ত হাওয়ারা মুক্তি পায়
আমার জীবন নিত্যতাই স্পন্দমান।
এ–যেনো প্রকৃতি!
গ্রীষ্মের খরতাপ শুষে স্নিগ্ধ শরৎই পায় যেনো পেলবতা।
আমার বিজয়ী ঐশ্বর্যের পাশে
মূর্তিমতী কামনার একটি নদী।
প্রকৃতিতেই আরাধ্য আবিষ্ট আমি–
সে– নয় সাধারণ্যে সকলের কামনায়।
মৃত্তিকার দ্বৈত উভচর করি আরাধনা,
শূন্যভাঙা প্রাণে শুনি ধ্রুব গান ।
খরা ভরা স্নিগ্ধ পাহাড়ি দুপুরবেলায় –
ফুলের তোড়ায় না বসে প্রজাপতি
ও বসে আছে নিমগ্নতায় লাবণ্য পুষ্ট সবুজাভ ঝোপের ঝাড়ে,
টলোমলো নানা ছন্দে উড়ে ফুল ছেড়ে পাতায়– পাতায় ।
পথের ধূলার বাঁকে বাঁকে শীর্ণ শাখে শাখে ফোটে ফুল ।
তাই ভুলে যাই –জরাজীর্ণ এ– মলিনতাকে।
যতদিন বাঁচি, যতদিন আছি –
পথে –পথেই কুড়িয়ে পাই ভালোবাসা ।
নব আনন্দে জ্বালাই দীপাবলি
সমুদ্রিত কষ্টকে নির্মল নীলে করি নিঃশেষ ।
নব আনন্দে, নতুন প্রেমে, ভালোবাসি –
এ – ধরণীকে নম্র তেজে স্থির চিত্তে ।