প্রিয় রাসূলুল্লাহ (দ.) এর সুন্নাত ও আদর্শ অনুসারে জীবন গঠন করতে পারলে ইহকালীন এবং পরকালীন জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায়। মানুষ যখন দুনিয়াবি মোহে পথভ্রষ্ট হয়ে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যায় তখন শয়তান মানুষের ক্বলবে কুমন্ত্রণা দেয়। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর তরিক্বতে রয়েছে এমন এক যুগান্তকারী দর্শন যার মাধ্যমে মানুষের ক্বলবে স্থায়ী জিকির প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি সিনা–ব–সিনা তাওয়াজ্জুর মাধ্যমে রাসূলে পাক (দ.) এর বাতেনী নূর প্রদান করে মানুষের অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধ করেছেন। এমনকি তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েব প্রদানের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত মহিলা তরিক্বতপন্থীদেরও প্রিয় রাসূল (দ.) এর বাতেনী নূর প্রদান করেছেন। ফলে শরিয়তের বিধান পূঙ্খানুপুঙ্খরূপে সংরক্ষিত হয় এ দরবারে। ফয়জে কোরআন ও মোরাকাবার অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে নবীজির হারানো সুন্নাতকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। নবীজির অকৃত্রিম মুহাব্বত অন্তরে ধারণ ও সুমহান আদর্শের বাস্তব প্রতিফলনে সমুজ্জ্বল খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর তরিক্বত।
গতকাল বুধবার ফটিকছড়ির মুহাম্মদ তকিরহাট বাজার চত্বরে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি ১০ নং জাফতনগর শাখার ব্যবস্থাপনায় এশায়াত মাহফিলে হাজারো মুসলমানের উদ্দেশে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।
মাওলানা মুহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আহমদ মাদানীর সভাপতিত্বে এশায়াত মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, চবি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমেদ প্রমুখ।
বক্তব্য দেন, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল। মিলাদ–কিয়াম শেষে প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি–সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।