নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যুর পর তার আপনজনেরা আট বছর কারাবন্দী ছিলেন, এবার সে সময়কার গল্প উঠে আসছে ধারাবাহিক নাটক ‘জিন্দাবাহার’-এ। নাট্যকার-অভিনেতা ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ লিখেছেন ঢাকার অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই ইতিহাস এটি প্রযোজনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন ফজলে আজিম জুয়েল। খবর বাংলানিউজের।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে আজ রবিবার থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ৫২ পর্বের এই ধারাবাহিকটি। এতে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, লুৎফর রহমান জর্জ, আজাদ আবুল কালাম, আহমেদ রুবেল, অনন্ত হীরা, শতাব্দী ওয়াদুদ, শাহ আলম দুলাল, সমু চৌধুরী, শামীম ভিস্তি, শ্যামল জাকারিয়া, রোজী সিদ্দিকী, মুনিরা বেগম মেমী, নাজনীন চুমকি, শর্মীমালাসহ অনেকে।
এ প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, ঢাকার দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে গবেষণা হলেও সেভাবে কোনো ফিকশন নির্মিত হয়নি। একসময় জিনজিরা প্রাসাদও ঝলমলে ছিল। পরবর্তীকালে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত হলে ঢাকাও একসময় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঢাকার অবস্থা কেমন ছিল? এসবেরই প্রতিচ্ছবি আছে ‘জিন্দাবাহার’ নাটকে।
তিনি আরও জানান, জিন্দা মানে জীবিত আর বাহার হলো বসন্ত। আসলে ঢাকা একটা জীবিত বসন্তের জায়গা। এই ধারণা থেকেই ধারাবাহিকটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জিন্দাবাহার’। নির্মাতা ফজলে আজিম জুয়েল জানান, ২০০ বা ৩০০ বছর আগের ইতিহাস নিয়ে বাংলা নাটক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে সেভাবে কাজ হয়নি। সে সময়ের ঢাকা আমাদের কাছে অনেকটাই অজানা। দীর্ঘ এই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে এ সময়ের দর্শকরা অষ্টাদশ শতাব্দীর ঢাকাকে জানতে পারবেন। সপ্তাহে প্রতি রবিবার, সোমবার ও মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে এ নাটকটি।