জুমার দিন আজ। আল্লাহর অত্যন্ত মোবারক দিন, আজিম দিন। অন্যদিকে আপনারা তওবার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন। জুমা ও তওবা দুটি নেয়ামত। এটা গাউসেপাকের সিলসিলা। সব কাজে বায়াতের গুরুত্ব রয়েছে। নবীজি জিহাদ থেকে এসে ইরশাদ করেছেন যে আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে এসেছি। জিহাদ হলো যেখানে জীবন বাজী রাখতে হয়, জীবন দিতে হয়। ঐ জিহাদে যে শহীদ হয় তাঁকে আল্লাহ মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। এত বড় জিহাদকে ছোট জিহাদ বলা হয়েছে। আর এই দুনিয়ার জিন্দেগীকে জিহাদে আকবর তথা বড় জিহাদ বলেছেন। এটা নফসের সাথে জিহাদ। আর নফসের নিকট খুব কাবু হয়ে যাই। শয়তানের সাথে সবসময় জিহাদ করে নফসে আম্মারাকে নফসে মুতমায়িন্না বানানো হলো বড় জিহাদ। ঘোড়ার লাগাম সুদৃঢ়ভাবে না ধরলে যেমন ঘোড়া সঠিকভাবে দৌঁড়াতে পারবে না, তেমনি ইসলামকে সুদৃঢ় করতে নফসের সাথে জিহাদ করতে হবে। এর জন্য দরকার সিলসিলা। নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে বড় পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি সঠিক প্রস্তুতি না থাকে তবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবো না। সুতরাং আমাদের বড় জিহাদ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির বড় অংশ হচ্ছে তাওবার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে গুনাহ মাফ চাওয়া। গুনাহ মাফের পর আমাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে যায়। আমরা যতই গুনাহ করি, তা পাহাড়সম হলেও আল্লাহর দরবারে তাওবা করলে আল্লাহ তাওবা কবুল করেন। সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করেন। তবে তাওবা করার পর আমরা যে ওয়াদা করেছি, আমরা এমন কাজ করবো, যাতে আল্লাহ–রাসুল সন্তুষ্ট হন। এমন কাজ করবো না, যাতে আল্লাহ–রাসুল অসন্তুষ্ট হন। নামাজ ও হযরাতে কেরামের প্রদত্ত জিকিরগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এ সিলসিলা গাউসে পাকের, সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (রহ.)-এর মাধ্যমে আমরা পেয়েছি। তিনি এমন এক মহান ওলি ছিলেন, আল্লাহ–রাসুলের মুহাব্বতের জোয়ার সৃষ্টি করেছেন, সারা বাংলার মানুষ আজ জামেয়ার ময়দানে। এখানে কাউকে জোর জবর–দস্তি করে আনা হয় না। মুহাব্বত ও ভালোবাসায় আসেন। আমাদের খোশ নসিব, আমরা সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (রহ.)-কে পেয়েছি, সঠিক তরিকা পেয়েছি, আক্বিদা পেয়েছি, তাওবা করার সুযোগ পেয়েছি–বাঙালিরা বড়ই ভাগ্যবান।
গতকাল শুক্রবার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা ময়দানে জুমা নামাজ শেষে উপস্থিত লাখো মুসল্লির উদ্দেশ্যে আওলাদে রাসূল, পীরে বাঙাল হুজুর কেবলা, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ) সিলসিলাহ্র কার্যক্রম পরিচালনার পর তাঁর বয়ানে একথাগুলো বলেন। তাঁর ইমামতিতে আরও দুইজন আওলাদে রাসূল জুমার নামাজে শরীক হন, সাহেবজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) ও সাহেবজাদা সৈয়্যদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ)।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনজুমান–এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মনজুর আলম (মনজু), এডিশনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সামশুদ্দীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দীন (সাকের), ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দীন (সবুর), প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দীন, আনজুমান সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, আনোয়ারুল হক, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হামিদ, লোকমান হাকীম মো. ইব্রাহীম, আবদুল কাদির খোকন, আবদুল হাই মাসুম, মাহবুবুল আলম, সাদেক হোসেন পাপ্পু, মাহবুব ছাফা, মোহাম্মদ হোসেন খোকন, ঢাকা আনজুমানের জয়েন্ট সেক্রেটারি আবদুল মালেক বুলবুল, গাউসিয়া কমিটির সদস্য মাহমুদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ।
দায়েম নাজির জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রজভীর সঞ্চালনায় জুমা পূর্ববর্তী সময়ে বক্তব্য দেন, আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান ফকিহ্ আল্লামা কাজী আবদুল ওয়াজেদ, ঢাকা কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হাফেজ মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান আলকাদেরী, জামেয়ার আরবি প্রভাষক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, দায়েম নাজির জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী মুহাম্মদ ইব্রাহীম। শেষে হুজুর কেবলা (মা.জি.আ) বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












