নদভীর ক্যাশিয়ারের অপকর্ম : আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন পুলিশের

| বুধবার , ৩০ জুলাই, ২০২৫ at ১০:২৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের লালদিঘী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ‘ভয়ের আরেক নাম’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এস এম আহামদ হোছাইন। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এই ‘ক্যাশিয়ার’কে সম্প্রতি পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ছাত্র জনতা।

তার গ্রেপ্তারের পর একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। নির্যাতিতরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে হোছাইন রাজনৈতিক প্রভাবের আশ্রয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। কখনো ভুয়া মামলা, কখনো চাঁদাবাজির অভিযোগ—তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে আদালতের প্রতিটি দিনেই।

এক ভুক্তভোগী বলেন, “প্রতিবাদ করলেই উল্টো আমাদের নামে মামলা দিত। থানায় গেলে সবাই বলত—‘ও নদভীর লোক, কিছু বলা যাবে না’। এখন একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছি।”

পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এক মামলায় হোছাইন এজাহারনামীয় ৬২ নম্বর আসামি। মামলার বাদী পরবর্তীতে আদালতে একটি আবেদন দিয়ে দাবি করেন, হোছাইন এই ঘটনায় জড়িত নন। কিন্তু মামলার অন্যান্য ভুক্তভোগীরা আদালতে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই আবেদন করা হয়েছে এবং হোছাইন এই ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন।

এদিকে ডবলমুরিং থানায় দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় হোছাইনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (৩০ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালত শুনানির জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “এস এম আহামদ হোছাইন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি, প্রতারণা ও সহিংসতায় যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পাওয়া প্রতিটি অভিযোগ আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, একটি রাজনৈতিক চক্র আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইন ও মাঠপর্যায়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনার সঙ্গে হোছাইনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনদভীর ক্যাশিয়ারের অপকর্ম : আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন পুলিশের
পরবর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় ইয়াবাসহ আটক ২