চট্টগ্রামের লালদিঘী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ‘ভয়ের আরেক নাম’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এস এম আহামদ হোছাইন। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এই ‘ক্যাশিয়ার’কে সম্প্রতি পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ছাত্র জনতা।
তার গ্রেপ্তারের পর একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। নির্যাতিতরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে হোছাইন রাজনৈতিক প্রভাবের আশ্রয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। কখনো ভুয়া মামলা, কখনো চাঁদাবাজির অভিযোগ—তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে আদালতের প্রতিটি দিনেই।
এক ভুক্তভোগী বলেন, “প্রতিবাদ করলেই উল্টো আমাদের নামে মামলা দিত। থানায় গেলে সবাই বলত—‘ও নদভীর লোক, কিছু বলা যাবে না’। এখন একটু হলেও স্বস্তি পাচ্ছি।”
এদিকে ডবলমুরিং থানায় দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় হোছাইনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালত শুনানির জন্য আগামী ৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “এস এম আহামদ হোছাইন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি, প্রতারণা ও সহিংসতায় যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পাওয়া প্রতিটি অভিযোগ আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, একটি রাজনৈতিক চক্র আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইন ও মাঠপর্যায়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনার সঙ্গে হোছাইনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।