নথি জালিয়াতি করে পণ্য খালাসের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুপুরে কাস্টম হাউসে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপ-পরিচালক মো. ফজলুল বারী ও সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের বিষয়ে মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, সুতা ও মেশিনারিজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা মদ নারায়নগঞ্জে আটকসহ, বেশ কিছু পণ্য জালিয়াতির মাধ্যমে বন্দর হতে খালাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারী কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মদ আমদানির বিষয়ে আসলে কারা জড়িত, বন্দর-কাস্টমসের কর্মকর্তা কিংবা সিএন্ডএফ এজেন্ট জড়িত কিনা আমরা সার্বিকভাবে কাগজপত্র যাচাই সাপেক্ষে বলতে পারবো। এখন আসলে বুঝতে পারছি না কারা জড়িত।
এ বিষয়ে কাস্টমসের পক্ষ থেকে ৫টি মামলা করা হয়েছে। মামলা দায়ের কিভাবে সেগুলোও আমরা পর্যালোচনা করবো। আমরা শুনেছিলাম-কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকের শুনানি নিয়েছে। তারাও আলাদাভাবে তদন্ত করছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, সরেজমিন অভিযানকালে দুদকের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনারের সাথে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া সে সংক্রান্ত কিছু রেকর্ডপত্র তাৎক্ষণিকভাবে চাওয়া হয়। কাস্টমস কমিশনার কিছু রেকর্ডপত্র সরবরাহ করেন এবং বাকি রেকর্ডপত্র বিভিন্ন দপ্তরে আছে বলে উল্লেখ করে তিনি চাহিদাপত্র দিতে বলেন। সে অনুযায়ী দুদুকের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে চাহিদাপত্র দেন। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে চট্টগ্রাম বন্দরের যে সকল জায়গায় পণ্য খালাস করা হয় এবং স্ক্যানিং করা হয় সে সকল জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেন দুদক কর্মকর্তারা। দেখা গেছে- গার্মেন্টস পণ্য আনার ঘোষণা দিয়ে ৫টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে মদ খালাস করা হয়েছে।