নতুন মজুরি কাঠামো মেনে নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, যেটা বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক। যখনই সময় আসে, তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দিই।
গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাত্র ১৪ বছরে ১৬শ টাকা মজুরি থেকে ৮ হাজার ৩শ টাকা করে দিয়েছি। আবার বাড়িয়ে এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শুধু এটিই না, তাদের মজুরি আবার প্রতি বছরে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট হয়। সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর তুলনামূলক তথ্য তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, যেখানে আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের ৫ শতাংশ বেতন বাড়ালাম, সেখানে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বাড়ালেন মালিকেরা। এখানে ৫ শতাংশ আর তাদের জন্য ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কারখানা তাদের রুটি–রুজির ব্যবস্থা করে, তাদের খাদ্য দেয়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, সে কারখানায় হামলা, পোড়ানো হলো। ১৯টি কারখানায় আক্রমণ করা হয়েছে।
পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পোশাক শ্রমিকদের কথা একটু বলি। আজ তাদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। আমার কাছে খবর আছে তাদের (শ্রমিক) এভাবে রাস্তায় নামাবে এবং তারাই এজেন্ট ঢোকাবে, তাদের ক্ষতি করবে, দরকার হলে লাশ ফেলবে এবং দেশের অবস্থা আরও অস্থিতিশীল করবে। শেখ হাসিনা বলেন, এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে তারা চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে গিয়ে পড়ে থাকতে হবে। এখন তারা কী চায়? কারখানা ধ্বংস হয়ে গেলে উৎপাদন ব্যাহত হয়, রপ্তানি ব্যাহত হয়। তাহলে তাদের কাজ থাকবে কোথায়? এটা তো তাদের বুঝতে হবে। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।“
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সকলকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।’ বিএনপি–জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করব না তো কি করব। আবার অনেকে বলে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে! পদত্যাগ করতে হবে! কি কারণে? আমরা তো বিএনপির ওপর কোনো গ্রেনেড হামলাও করিনি বা কোন অত্যাচারও করিনি।’