দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রচারের পর নতুন একাডেমিক ভবন পেল সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫ই অক্টোবর এর স্মারক নং-৩৭.০৭,০০০০.১৪, ২০,১০১, ২৩/৩০১৪ (৩) এর অনুকূলে উক্ত একাডেমিক ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের সর্বাধিক পঠিত গণমাধ্যম দৈনিক আজাদী মাল্টিমিডিয়ায় সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বেহাল দশা নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচারিত হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নজরে আসে।
তখন গত ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপমন্ত্রী বরাবরে ’চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রসংগে’ শিরোনামে একটি পত্র প্রেরণ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে নতুন একাডেমিক ভবন বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব।
তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় স্কুল ভবনে ফাটল ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে।
দৈনিক আজাদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আপনাদের প্রতিবেদনের কারণে বিদ্যালয়টি নতুন একাডেমিক ভবন বরাদ্দ পেয়েছে, ভবনটি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য যাঁরা কাজ করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বিদ্যালয়টিতে ভবনটি খুবই প্রয়োজনীয় ছিলো, নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে জ্ঞান বিকাশে শিক্ষার মানসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
দৈনিক আজাদী মাল্টিমিডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় স্কুল ভবনে ফাটল ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শ্রেণীকক্ষ সংকটে গাদাগাদি করে পাঠদান চলছে সাতকানিয়ার দক্ষিণ ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। একটি বেঞ্চে ৫/৬ জন শিক্ষার্থী বসার কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।
৩ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০০৪ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমিন এর উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত রয়েছে ছদাহা, কেওচিয়া, পৌরসভা ও ঢেমশা এলাকার ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। বিদ্যালয় ভবনটি সংস্কার সহ সম্প্রসারিত নতুন ভবন প্রদান করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী তাদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদুল আনোয়ার চৌধুরী জানান এমপিওভুক্ত ৪ শিক্ষক সহ ১০ জন শিক্ষক ও ৩জন কর্মচারী রয়েছেন। পূর্বে ৯টি শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করানো হলেও বন্যায় বিদ্যালয়ের পুরোনো টিনসেড ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৫টি কক্ষে ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস জানান, তিনি বিদ্যালয়টির ক্ষতিগ্রস্ত ভবন সহ সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভবন নির্মাণ সহ সার্বিক বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।