নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ৭ টন বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে এসব মাছ জব্দ করা হয়। এ সময় মাছ পরিবহনে ব্যবহৃত ৫টি ট্রাকও জব্দ করা হয়। সদরঘাট নৌ–পুলিশের ওসি মো. একরামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নৌ পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে নতুন ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালায় নৌ–পুলিশ। এ সময় সন্দেহজনক ৫টি ট্রাকে তল্লাশি চালানো হয়। পরে ট্রাক থেকে ককসিটের বক্সের ভেতরে রাখা প্রায় ৭ টন লইট্টা ও তুল ডানডি (স্থানীয় ভাষায় চুলের দাঁড়ি) মাছ পাওয়া যায়। মাছের ৫টি ট্রাকসহ ১৫ জনকে এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাকগুলোর মধ্যে বাঁশখালীর রয়েছে দুটি আর বাকি তিনটি কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার।
ওসি মো. একরামুল হক জানান, জব্দ করা মাছগুলো বিজ্ঞ আদালতের আদেশে বিভিন্ন মাদ্রাসা–এতিমখানা ও জেলখানার কয়েদীদের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথকভাবে ৫টি মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সমুদ্রে মৎস আহরণের এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত।
