নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দফায় দফায় হামলা ও ছুরিকাঘাতে আবু তৈয়ব (৪২) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজের নীচে সিবিচ কলোনির রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ‘কসাই আকতার’সহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত তৈয়ব কর্ণফুলীর শিকলবাহা মাস্টারহাট এলাকার আহমদ মিয়ার ছেলে। তিনি নতুন ফিশারিঘাটে শ্রমিকদের মাঝি হিসেবে কাজ করতেন।
জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর নগর অংশের নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ বালি পাথর ব্যবসা, অনুমোদন ব্যতিরেখে ঘাট বসিয়ে মালামাল লোড আনলোড, মাটি বেচাকেনার কর্তৃত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। প্রভাবশালী সিন্ডিকেট তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে কম আয়ের লোকজনকে ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ভেড়া মার্কেটের অবৈধ বস্তি নিয়ন্ত্রণ করত কসাই আকতার।
চমেক হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাত ১০টার দিকে নিহত আবু তৈয়বের ছেলে শাহজাহান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমার দাদীর নামে গালাগাল করেছিল হামলাকারীরা। আজ (গতকাল শুক্রবার) সকালে আবার বাবা (নিহত ব্যক্তি) কারণ জানতে গেলে ঝগড়া হয় হয়। এরপর দিনভর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। সন্ধ্যায় কসাই আকতার, সাইফুল, কসাই আকতারের ভাই মুন্না, ওই জায়গার কয়েকজন কেরানি মিলে কুপিয়েছে। তাদের হাতে রামদা, ছুরি, লোহার পাট্টা ছিল।’ চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘রাত আটটার দিকে বাকলিয়া এলাকা থেকে আবু তৈয়বের ডেডবডি আনা হয়। তার বুকে, চোয়ালে, তলপেটে, কোমড়ে বেশ কয়েকটি কোপানোর চিহ্ন রয়েছে।’
বাকলিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘নিহত তৈয়বের সাথে হাসিনার গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার দফায় দফায় মারামারি হয়েছিল। সন্ধ্যায় হাসিনা গ্রুপের লোকজন তৈয়বকে মেরে ফেলেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।’