চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নতুন বিশ্ব গড়ার সক্ষমতা আমাদের আছে, যেটা আমরা গড়তে চাই। তিনি বলেন, এ পৃথিবীর ভবিষ্যত আমাদের প্রত্যেকের হাতে। আমরা যেভাবে বিশ্বকে গড়তে চাই সেভাবেই বিশ্ব গড়তে পারি। আমি যেভাবে বলেছি সেভাবে গড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। আমি আমার কথাটা বলে যাচ্ছি। অন্যরা তাদেরটা বলবে। কিন্তু নিজের মনের একটা স্বপ্ন থাকতে হবে এটাই আমার আবেদন। আমি কী ধরনের বিশ্ব চাই, কী ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চাই, কী ধরনের সমাজ চাই, কী ধরনের দেশ চাই– সবকিছু নিয়ে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে একটা স্বপ্ন থাকতে হবে। কিন্তু স্বপ্ন না দেখে গর্তের মধ্যে ঢুকে গেলাম, যা আছে মেনে নিলাম, তাহলে কিছুই পাল্টাবে না, কিছুই পরিবর্তন হবে না।
হাটহাজারীর জোবরা গ্রামের মহিলাদের কাছ থেকে নতুন অর্থনীতি শিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সেই হিসেবে জোবরা তাঁর কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বলে জানান। তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত যা কিছু করে যাচ্ছি, এই জোবরা থেকে যা শিখেছি তারই বহিঃপ্রকাশ। ড. ইউনূস বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম শিক্ষক হিসেবে। ক্রমে যতোই দিন গেল দেখলাম ছাত্র হয়ে গেছি। আমি আর শিক্ষকতার ভূমিকায় নাই। ক্রমাগত শিখছি। জোবরার সইজ্জাপাড়া ও দেওয়ান নগরে যে মহিলারা আছে, তারাই আমার শিক্ষক হলো। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। আমার ছাত্র–ছাত্রীরা তারা আমার সঙ্গে ছিল। আজকে অনেকে উপস্থিতও আছে। যারা মহিলাদের কাছে আমাকে নিয়ে গেল তাদের থেকে পাঠদান নেওয়ার জন্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এটি অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, আমি অবাক হয়ে গেলাম। যা ক্লাসরুমে পড়ায় তার সাথে কিছুই মিল নাই। যে কাজে হাত দিলাম সেটা মহিলাদের কাছে ক্রমেই পছন্দের জিনিস হলো। যাদের হাতে টাকা দিলাম, ঋণ দিলাম ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা। ৫ টাকা, ১০ টাকা যে মানুষের জীবনে এতরকমের আনন্দ আনতে পারে, তা কোনোদিন ভাবি নাই। তারা কৃতজ্ঞতায় গদগদ। আমি কোনো মাগনা টাকা তাদেরকে দিচ্ছিলাম না। তাদেরকে বলেছি এই টাকা কাজ করে রোজগার করবেন, আমাকে ফেরত দিবেন। তাতেও খুশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমার সমস্ত কিছুর বীজ বপন হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসময় জোবরা গ্রাম; যেখান থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের যাত্রা শুরু করেন সেটাকেও তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অবহিত করেন। তিনি বলেন, সেজন্য আমি জোববার কাছে কৃতজ্ঞ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
বিশ্ববরেণ্য এ শিক্ষক আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষকতার সময়ে উৎসাহ সহকারে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এ সময়ে ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ হলো। মানুষের কষ্ট দেখে মনে খুব কষ্ট পেলাম। আমি ভাবলাম, সারা দেশের দুর্ভিক্ষ দূর করতে পারবো না, তবে জোবরার কিছু মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারি। এ ভাবনা থেকেই শুরু হলো আমার জীবনের আরেক অধ্যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা বলতে শুরু করলাম, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাবো। আমরা এ ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং সফল হই। আমাদের প্রবর্তিত নতুন অর্থনৈতিক মডেল জোবরার অর্থনীতি ব্যবসায়ের অর্থনীতি নয়, বরং মানুষের অর্থনীতি। যে শিক্ষা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে শেখায় না, তা আমাদেরকে ধ্বংস করবে। তাই নতুন শিক্ষাপ্রাপ্তদের থেকে আবিষ্কার করার প্রবণতা আয়ত্ত করতে হবে, নতুন নতুন ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ড. ইউনুস বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যখন পরিচয় দেয়, তখন হয়ত বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। গৌরব করে। ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ও গৌরববোধ করে যে, আমি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছিলাম। আমি তাদেরকে বলি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গৌরব করার কারণ বড় দুইটা, তোমাদেরটা একটা। দুইটা এজন্য যে, নোবেল পুরস্কারের গোড়াপত্তন হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহচর্যে। সেজন্য এই গৌরববোধ আমি শুধু শিক্ষক ছিলাম না, ওর পাশের গ্রামের ছাত্রও ছিলাম। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে লেখা আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে তার জন্ম। সেটা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। আর গ্রামীণ ব্যাংকও নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। কাজেই দুইটি নোবেল পুরস্কারের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় তার ছাত্র–ছাত্রীদেরকে জানাতে পারে তার ইতিহাস কি? এর প্রাসঙ্গিকতা ও ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণে তারা ঠিক করবে, তারা কি ধরনের ভবিষ্যতে চায় তাদের জন্য। ড. ইউনূস বলেন, সকল মানুষ অভাব দূর করার জন্য চেষ্টা করে। তবে উপযুক্ত শিক্ষা না থাকলে অভাব দূর করা সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য শিক্ষা লাগবে। তিনি চবির সমাবর্তী শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তোমরা সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেছো। এখন জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এ অধ্যায়েও তোমাদের সফল হতে হবে। বহু বছর পরে ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে পেরে এবং তোমাদের সাথে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। পরিশেষে তিনি শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের পাঠদান ও গবেষণার পদ্ধতি মনের মতো করে সাজাতে হবে। বিশ্ব গঠন করা আমাদের হাতে। আমাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজেদের ভাবনা অনুযায়ী বিশ্বটাকে গড়তে হবে।
চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সভাপতিত্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।
সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, দলীয় রাজনীতি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে যেন কলুষিত না করে। রাজনীতি করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করুন। শিক্ষকতায় থাকলে শিক্ষার্থীদের বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করুন। জাতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পালন করছি কিনা তা নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করুন। শিক্ষার উন্নয়নে আপনাদের যে কোনো প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসবেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের ত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাদের স্বপ্ন পূরণে উদারভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, শিক্ষার্থীদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমাদের এ অর্জনকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। বিশ্বমানের নাগরিক তৈরির জন্য উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে। সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে এ দেশকে গড়তে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমাবর্তন সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি–লিট ডিগ্রি দিতে পেরে আনন্দিত। তিনি শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নানা কারণে বর্তমানে শিক্ষার মান দুর্বল হয়েছে। সকলের মনে রাখা দরকার যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজনীতি করার জায়গা নয়। এখানে শিক্ষাই আসল বিষয়। লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতির কারণে শিক্ষা ধ্বংস হচ্ছে। অনেক বিভাগে সময় মতো ক্লাস ও পরীক্ষা হয় না। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা চাই, মেধার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী কেউ চাকরি পাক। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আদর্শ শিক্ষক থাকলেও দুঃখের বিষয় হলো, কেউ কেউ শিক্ষকতার চেয়ে রাজনৈতিক কাজে অধিক মনোযোগী। তারা ঠিক মতো ক্লাস নেন না।
তিনি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, উন্নত দেশে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া আবেদন করতে পারেন না। আর বাংলাদেশে মাস্টার্স পাশ করে শুধু ভাইভা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যায়। কখনো কখনো আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেও শিক্ষক নিয়োগ হয়। আমরা এ জাতীয় অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছি এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক পরিবর্তন এনেছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা উপহার দিতে হলে শুধু দৃঢ় ইচ্ছা ও কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন ওয়ারেন্ট অফ প্রিসিডেন্সসহ সর্বক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন, বৈষম্য দূরীকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো গঠন ও বাস্তবায়ন। উপ–উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন করতে চাই। তবে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন অসম্ভব। তাই বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে সব ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করতে হবে এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় সুযোগ–সুবিধা প্রদান করতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের সভাপতি চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার পঞ্চম সমাবর্তনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের সদস্য–সচিব চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি–লিট ডিগ্রি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন চবি প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর (একডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন চবি প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি স্মারক প্রদান করেন।
এবারের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার ৫৮৬ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি এবং ২২ হাজার ৫২২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের তালিকা সমাবর্তনের সভাপতির কাছে উপস্থাপন করেন যথাক্রমে চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ইকবাল শাহীন খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল–আমীন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম কিবরীয়া। আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি প্রদান করার জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীদের তালিকা সমাবর্তনের সভাপতির কাছে উপস্থাপন করেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ইকবাল শাহীন খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল–আমীন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ তালুকদার, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম কিবরীয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন ও চিকিৎসা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। উপাচার্য ডিগ্রি প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এবং পরিবার, সমাজ ও দেশ–জাতির কল্যাণে ডিগ্রি অর্জনকারীদের আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত থেকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেন চবি জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের মোছাম্মৎ তাহমিদা আখতার, প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এ এস আবু আহমেদ, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মো. মনজুরুল ইসলাম ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. মাকসুদুর রহমান। প্রধান উপদেষ্টা ডিগ্রি প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
এর আগে অতিথিদের আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে অংশ বিশেষ পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চবি মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ইব্রাহিম হোসেন ও ড. ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তাহমিদা খানম। সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সাবেক কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।