বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে গত অর্থবছরে রপ্তানি কমেছে, অথচ এই পণ্য থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে। নতুন কয়েকটি বাজারে ভর করেই দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক খাত থেকে আয় আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো অপ্রচলিত বাজারে এই প্রথম ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। জাপানে রপ্তানি গত বছর ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল, এবার তা দেড় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
দীর্ঘদিন ধরে যে সব দেশে নিয়মিত রপ্তানি হয়ে আসছে, সেগুলোকে প্রচলিত, আর যেসব দেশে নামমাত্র পরিমাণ রপ্তানি হয়, সেগুলোকে অপ্রচলিত বাজার হিসাবে বিবেচনা করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো–ইপিবি। প্রচলিত বাজারের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সামগ্রিক পোশাক রপ্তানির ১৮ থেকে ২০ শতাংশ যায় এই দেশটিতে। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।
কোভিড মহামারীর খাঁড়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হলে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি নানামুখী বাধার মুখে পড়ে। নতুন বাজার হিসাবে বিবেচিত রাশিয়াও পড়ে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে। এই পরিস্থিতিতে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া ও টানা কয়েকমাস প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তখন প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি যেখানে সাধারণত রপ্তানি তেমন হয় না, সেই দেশগুলোর দিকে নজর বাড়াতে থাকেন পোশাক শিল্প মালিকরা। বছর শেষে পরিসংখ্যান দেখে নতুন বাজার নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন রপ্তানিকারকরা।