নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সুশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি

ছাদেক হোছাইন | মঙ্গলবার , ১৩ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণ অভ্যূত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দেশজুড়ে সহিংসতায় অনেকেই মারা যাওয়ার খবরও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। তবে, এসময়টাতে ছাত্র সমাজ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন থেকে শুরু করে, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা ও জানলাম রক্ষায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে, নতুন সরকারের জন্য সামনের পথ পাড়ি দেওয়া আরও বেশি চ্যালেঞ্জপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত সরকারের আমলে, বেশ কিছু সময় ধরে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি। সরকারি উচ্চ পর্যায়ের আমলা থেকে শুরু করে গ্রামের চৌকিদার সবার মধ্যে কে কাকে ঠকিয়ে বা বঞ্চিত করে লাভবান হবে, জোরজুলুম ও নির্যাতন করে অন্যের হক আত্মসাৎ করবে এবং দেশের আইনকানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ ব্যবসাবাণিজ্য করে জনগণের ধনসম্পদ লুটপাট করার যেন সে অসম প্রতিযোগিতা। যার মূলে ছিল আইনের শাসনের অভাব। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয় বিতৃষ্ণা। এক্ষেত্রে, রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। দেশের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সুশাসন ও কার্যকর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অপরিহার্য। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, স্বচ্ছতা, এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন । এছাড়াও, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা যেতে পারে। আগামীর বাংলাদেশ হোক সম্ভাবনা ও স্বপ্নপূরণের মহা অঙ্গীকার। শতাব্দীর অঙ্গীকার পূরণে তরুণদের সঠিক নেতৃত্বের বিকাশও আবশ্যক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার স্বাধীনতা রক্ষা করার পালা
পরবর্তী নিবন্ধহিংসার অসুখ থেকে উঠুক সেরে