ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এবাদত-খালেদরা যখন প্রস্তুতি খেলতে ব্যস্ত তখন অ্যালান ডোনাল্ডের সাথে ব্যস্ত মোস্তাফিজ। নেটে মোস্তাফিজকে নিয়ে সময় পার করছেন ডোনাল্ড। তার অবশ্য কারনও আছে। আর সেটা হচ্ছে এই সিরিজে বলের ধরন। টেস্ট ক্রিকেটে কোথাও ‘কুকাবুরা’ কোথাও ‘এসজি টেস্ট’ বলে খেলা হয়। কিন্তু ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে এই সংস্করণে খেলা হয় ‘ডিউক’ বলে। এই বলগুলির মৌলিক পার্থক্য সিম বা সেলাইয়ে। ডিউক বলের সিম বেশি খাড়া ও টেকে লম্বা সময়। খুব সহজে বসে যায় না। তাই এটি সুইং করে বেশি ও দীর্ঘ সময় ধরে। কুকাবুরা বলে সিম অতটা উঁচু নয়। বরং বলের সঙ্গে অনেকটাই মিশে থাকে। খেলা গড়ানোর সঙ্গে এটি দ্রুত বসে যায়। তাই শুরুতে সুইং করলেও পরে এতটা করে না। এসজি বলের সিম কুকাবুরার চেয়ে একটু বেশি খাড়া থাকে বটে। তবে এটিও বসে যায় বেশ দ্রুত। বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটে বেশির ভাগ সময়ই খেলা হয় কুকাবুরা বলে। কখনও কখনও হয় এসজি টেস্ট বলে। ডিউক বলে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি তাই খালেদ-ইবাদতদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে চ্যালেঞ্জটা সবচেয়ে বেশি হয়তো মোস্তাফিজের। কারন দীর্ঘদিন পর তিনি ফিরছেন লাল বলের ক্রিকেটে।