মানবদেহের জেনেটিক বা বংশগতির কারণে হয় এমন নতুন ধরনের রোগ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ‘লিন কাইনেজ–অ্যাসোসিয়েটেড ভাস্কুলোপ্যাথি অ্যান্ড লিভার ফাইব্রোসিস’ বা ল্যাভলি নামের নতুন এক জেনেটিক রোগ শনাক্তের বিষয়টি চিকিৎসা বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার বলে দাবি তাদের। নতুন রোগটি মানবদেহের ‘এলওয়াইএন’ জিনের পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত, যা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে কীভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ। অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো উদ্দীপকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অটোইনফ্লেমেটরি রোগে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজে থেকেই অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে শরীরকে আক্রমণ করতে শুরু করে। এতে ত্বক, জয়েন্ট ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গসহ শরীরের নানা অংশে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এই ধরনের কিছু পরিচিত রোগের মধ্যে রয়েছে লুপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও ক্রনের রোগ।
ল্যাভলি রোগ প্রথম শনাক্ত হয়েছে এক শিশুর মধ্যে, যার এলওয়াইএল জিনে সমস্যা ছিল। পরে আরও দুই শিশুর মধ্যে একই জিনে আলাদা ধরনের সমস্যা পাওয়া যায়। এ তিন শিশুরই ছোটবেলা থেকে যকৃত ও রক্তনালীর সমস্যা রয়েছে। এসব শিশুর দেহে এমন গুরুতর লক্ষণ দেখা গেছে, যেখানে সাদা রক্তকণিকার অংশ বা নিউট্রোফিল ত্বকের ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই অবস্থাকে বলা হয় নিউট্রোফিলিক কিউটেনিয়াস স্মল ভেসেল ভাস্কুলাইটিস। এছাড়া ওই দুই শিশুর জীবনের প্রথম বছরের মধ্যেই যকৃতের টিস্যুতে দাগ বা স্কার টিস্যু জমে যকৃতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছিল। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অবস্থা লিভার ফাইব্রোসিস নামে পরিচিত। খবর বিডিনিউজের।