টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স মোটেও ভাল নয়। গত কয় সিরিজে সেটা আরো নিচের দিকে নেমে গেছে। সবশেষ সিরিজ হেরেছে জিম্বাবুয়ের কাছে। তাই এশিয়া কাপে কেমন করবে বাংলাদেশ তা নিয়ে আলোচনার যেন শেষ নেয়। আর ঠিক তেমন এক সময় বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামের হাতে। ভারতের এই কোচ জানালেন তিনি অতীত ভুলে নতুন করে শুরু করতে চান। নতুন দল, নতুস ক্রিকেটার। তাই শুরুটাও হবে নতুন করে। তাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন মুখে নয় জবাবটা দিতে চান মাঠেই। শ্রীরাম দায়িত্ব নেওয়ার পর এক সপ্তাহের কম সময়ে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এতটুকু সময়ে তিনি দলকে কতটা বদলে দেবেন সেই সংশয় আছেই। তবে আত্নবিশ্বাসের কোন ঘাটতি নেই শ্রীরামের মধ্যে। তার বিশ্বাস, নিজের দর্শন আর ঘরানা দিয়ে টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশকে তিনি নতুন পথের দিশা দিতে পারবেন। তাইতো বললেন আমি এসেছি নতুন দৃষ্টি নিয়ে। বাংলাদেশের অতীথ পারফরম্যান্স কি সেটা নিয়ে ভাবতে চাইনা। আমি এসেছি নতুন ভাবনা নিয়ে। এসেছি নতুন ধারণা নিয়ে। নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে। আমি চাই দলকে একতাবদ্ধ করে নতুনভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চাকরি ছেড়ে দিয়ে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন শ্রীরাম। সে সময় আমি বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের ফোন পান তিনি। শ্রীরাম বলেন আমি টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে যোগ দিতে পারব কি না জানতে চায়। এরপর সব কিছু খুব দ্রুত ঘটেছে। এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দলে কোনো প্রধান কোচ নেই। তার দায়িত্বের ধরণটা নিয়েও তাই কিছু সংশয়-কৌতূহল আছে। শ্রীরাম অবশ্য জানালেন নিজের কাজের পরিধি নিয়ে তার ধারণা পুরোপুরি স্বচ্ছ। তিনি বলেন নিজের ভূমিকার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি পরিষ্কার। আমার কাজ হবে দলে যে সব সম্পদ আছে সেগুলোর সমন্বয় করা। দলে খুব ভালো কয়েকজন স্কিল কোচ আছেন। তাদের কাজে আমার পুরোপুরি আস্থা আছে। আমার কাজ হবে মূলত, অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টর ও স্কিল কোচদের সঙ্গে কাজ করা এবং এই তিনটি উপাদানকে একসঙ্গে সমন্বয় করা। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া ও আইপিএলে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সবশেষ ১৫ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। এই বাজে ফলের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখতে চান না শ্রীরাম । তিনি যোগ করতে চান পেশাদারিত্ব। বাংলাদেশের সংস্কৃতির মতো একটি জায়গায় এসেছি। আমি জানি এই ছেলেদের বেড়ে ওঠা কেমন। আমার জানা আছে তারা খেলাটাকে কীভাবে দেখে। পাশাপাশি ওই পেশাদারিত্বটাও যোগ করতে চাই। পরিষ্কার একটি লক্ষ্য আমি ঠিক করতে পারি যে পেশাদারিত্বের জায়গায় এই পর্যায়ে কী প্রয়োজন। তিনি বলেন আমি পরিসংখ্যান দেখছিলাম। উইকেট নেওয়ার গড়ের দিক থেকে, প্রথম তিন উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের সেরা দলগুলির একটি। প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা সম্ভবত বিশ্বের সেরা দলগুলির মধ্যে আছি। অনেক কিছুই তাই বাংলাদেশ ঠিকঠাক করেছে। তারা কোনটি ভালো করেনি, এসব মূল ব্যাপার নয়। যা কিছু তারা ভালো করছে, সেসবকে আরও শাণিত করতে হবে। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আমার মূল মনোযোগ থাকবে, ওদের শক্তির জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করা এবং সেখান থেকে দলকে গড়ে তোলা। যা কিছু আমরা ভালো করছি না, এসব এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে যদি আমরা ভালো দিকগুলোকে আরও ভালো করতে পারি।