নতুন জোট গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ

| মঙ্গলবার , ৯ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন সামনে রেখে ‘সরকার পতনের আন্দোলনে জোর দিতে’ বাম গণতান্ত্রিক জোট ছেড়ে আসা দুই দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই দলসহ সাত সংগঠন মিলে যে নতুন জোট গড়ছে, সেই ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ জোটের যাত্রা শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। জেএসডির সঙ্গে এই জোটে আছে নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। খবর বিডিনিউজের। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জনগণের আকাক্সক্ষাভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইতিহাসের অনিবার্য প্রয়োজনে আজকে গণতন্ত্র মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতন, রাষ্ট্রব্যবস্থার বদল, শাসনব্যবস্থা ও সাংবিধানিক সংস্কার, রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই মঞ্চে করা হয়েছে। মহান জনগণের মুক্তিসংগ্রামের এই কাফেলা, এই আন্দোলন-সংগ্রামের সাংবাদিক-আইনজীবী-পেশাজীবী-শ্রমিক-ছাত্র-যুবক-শিক্ষক-প্রকৌশলী-ডাক্তার-বুদ্ধিজীবী-শ্রমজীবীসহ সকল শ্রেণি-পেশার জনগণ এবং দেশবাসীকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা, সকল শিল্পকারখানা, সকল সংগঠনে গণতন্ত্র মঞ্চের সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
নতুন জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র ঘোষণায় রব বলেন, আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে যারা জড়িত, জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্যে-সংস্কৃতিতে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির পেশা ও সংগঠনের ব্যক্তিকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা হবে। এটাই হবে কার্যকরী জাতীয় ঐক্য। এই ঐক্য গণজাগরণ, গণবিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করবে। জনগণকে আন্দোলনে শরিক হতে বলছি। রাস্তায় সকলকে নামতে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই, এই লড়াই বাঁচা-মারার লড়াই, এই লড়াইয়ে জিততে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে, যারা জনগণের ওপর অত্যাচার করেছে তাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে পালাতে দেয়া যাবে না, তারা যেন পালাতে না পারে। সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের রূপরেখা উপস্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় এখন পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও দিশা নিয়ে রাজপথে জনগণের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এই কারণে আমরা দেশের জনণের আকাক্সক্ষার পাশে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন ও সামাজিক শক্তিগুলোর বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলাকে আমরা জরুরি কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউসিবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে হয়রানির অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধসান্ত্বনার জয় নাকি ২১ বছর পর হোয়াইটওয়াশ