দীর্ঘ ২১ বছর পর সম্মেলনের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত নতুন কমিটি পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আগামী ১০ এপ্রিল সম্মেলন ও কাউন্সিলর অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০১ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আর কোনো সম্মেলন বা কমিটি হয়নি। প্রায় ২১ বছর পর হতে যাওয়া এই সম্মেলনে দলের ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের নতুন নেতৃত্ব দেখতে চান তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম. জিয়া উদ্দিন আজাদীকে জানান, আমরা গত মঙ্গলবার কর্মী সভা করে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলেছি। আগামী ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা চাই সম্মেলনের পর কাউন্সিলর অধিবেশন করে অন্তত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হোক। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চাইলে এখানে সম্মেলন করে ঢাকা থেকে কমিটি ঘোষণা করতে পারেন। যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব আসুক আমরা সেটাই চাই।
কথা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম. জিয়া উদ্দিন বলেন, আজকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। ২০০১ সালে সর্বপ্রথম আমাদের হাত ধরেই চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যাত্রা শুরু হয়। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে-ইউনিটে কমিটি করে তৃণমূল পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সংগঠিত করেছি। আমরা অনেকবার সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছি। গত জাতীয় সম্মেলনের আগে আমরা সম্মেলন করে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নানা কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমরা ২৩ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করব। এরমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মী সভা করব।
এদিকে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে অনেকে নতুন নেতৃত্বে আসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে হতাশ হয়ে পড়েছেন। নতুন অনেকেই নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে আসার জন্য অপেক্ষায় আছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দুই ধারার দুইপক্ষের অনুসারীদের অনেকে দলের এক পদ থেকে অন্য পদে পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ নেতাদের কাছে ধর্ণা দিয়ে আসছেন। এদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দেবাশীষ নাথ দেবু। বর্তমানে এই গ্রুপে আরশাদুল আলম বাচ্চু এবং আজিজুর রহমান আজিজের নামও শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে সুজিত দাশ, হেলাল উদ্দিন ও আবদুর রশিদ লোকমানের নাম শোনা যাচ্ছে।
এদিকে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম. জিয়া উদ্দিন তার অনুজ আইনজীবী তসলিম উদ্দিনকে, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কে বিএম শাহজাহান তার অনুসারী জসীম উদ্দিন ও মনোয়ার জাহান মনিকে শীর্ষ পদে দেখতে চান বলে জানা গেছে।