নতুন কমিটিতে স্থান পেতে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতার অপেক্ষা

মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১২ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ চট্টগ্রাম মহানগর এবং ১২ তারিখ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। অপরদিকে এই বিজয়ের মাসের শুরুতেই দীর্ঘ ১০ বছর ৯ মাস পর (এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ডের মাঠে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের মহাসমাবেশে এসেছিলেন) চট্টগ্রাম আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একদিকে সম্মেলন, অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এখন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্যভাব বিরাজ করছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নব উদ্যমে জেগে উঠেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর এবং ১৭ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নতুন কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ সম্পাদকমণ্ডলী এবং কার্যকরী কমিটিতে স্থান পেতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে মহানগর ও দক্ষিণ জেলার মধ্যে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। এদিকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৬ জুন নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে।
দীর্ঘ ১৬ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে নতুন কোনো নেতৃত্ব আসতে পারেনি। কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতার আওয়ামী লীগে স্থান হয়নি। একই অবস্থা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও। ১৭ বছর সম্মেলন না হওয়ায় দক্ষিণ জেলায়ও ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের সাবেক নেতাদের স্থান হয়নি। এবারের সম্মেলনের পর কমিটি গঠনের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন হতে পারে। আওয়ামী লীগ সভাপতি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতারা তরুণ-মেধাবী নেতৃত্বের প্রতি বিশেষ জোর দিচ্ছেন। আর এতে আসন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতাদের অনেকেরই স্থান হতে পারে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে। এজন্য মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে এবার প্রাণচাঞ্চল্য বেশি। মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নতুন কমিটিতে স্থান পেতে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতার অপেক্ষা।
চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬-১৭ বছর ধরে যারা নেতৃত্বের আশায় রাজনীতি করছেন-আর যারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসতে চান-এমন প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস আর উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় একাধিকবার তাদের বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতাদের মহানগর এবং জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে স্থান দেয়ার জন্য বলেছেন। এরপর থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং যুবলীগ নেতারা এখন উন্মুখ হয়ে আছেন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়ার আশায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ
পরবর্তী নিবন্ধযারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তারা শয়তান