চট্টগ্রাম টেস্টে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েই ছিল বেশ শংকা। যদিও শেষ পর্যন্ত সে শংকা কাটিয়ে সাকিব ফিরেছিলেন মাঠে। দীর্ঘ ১৭ মাস পর নামেন টেস্ট ক্রিকেটে। ব্যাট হাতে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। পরে বল হাতেও দারুণ করছিলেন। কিন্তু থামতে হলো সাকিবকে। শুধু থামা নয় মাঠের বাইরে চলে যেতে হলো বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডারকে। এখন শংকা সৃষ্টি হয়েছে এই টেস্টে আর নামতে পারবেন কিনা সাকিব তা নিয়ে। গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিনে মাঠে নামা হয়নি সাকিবের। গিয়েছিলেন হাসপাতালে। করা হলো এমআরআই স্ক্যান। আর তাতেই সাকিবের ইনজুরির ব্যাপারে জানা গেল নতুন তথ্য। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন তিনি পুরোনো কুঁচকির ইনজুরিতে ভোগেননি। বরং নতুন করে বাম ঊরুতে ব্যথা পেয়েছেন। যে কারণ গতকাল শুক্রবার ম্যাচের তৃতীয় দিন মাঠে নামতে পারেননি বাংলাদেশ দলের এ অন্যতম ভরসা। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। তাকে মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিসিবি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রথম টেস্টের আগে পুরোনো কুঁচকির ইনজুরি সেরে প্রথম ইনিংসে ভালোভাবে ব্যাটিং করেছিল সাকিব। একইসঙ্গে ছয় ওভার বোলিংও করেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাম ঊরুর ভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেয়েছেন তিনি। গতকাল সকালে এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে এই ইনজুরির কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিসিবির মেডিকেল টিম প্রথম টেস্ট চলাকালীন সময়ে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে এবং তার উন্নতির বিষয়ে পর্যালোচনা করা যাবে। গত বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ১৭তম ওভার শেষে মাঠ ছেড়ে চলে যান সাকিব। সেদিন নিজের তৃতীয় ওভার করার সময়ই অস্বস্তি অনুভব করেন কুঁচকিতে। সেই ওভার শেষ করেও মাঠ ছাড়েননি। দ্বিতীয় স্পেলে আরও তিন ওভার বোলিং করে ড্রেসিংরুমে চলে যান সাকিব। এরপর আর মাঠে নামনেনি। এখন চলতি টেস্টের বাকি সময়ে আর মাঠে নামতে পারবেন কিনা সাকিব তা নির্ভর করছে মেডিকেল কমিটির নিশ্চয়তার উপর। যারা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যদিও ইনজুরি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে হয়তো সাকিবকে ছাড়াই চলতি টেস্টের বাকি দুদিন খেলতে হবে বাংলাদেশকে। যা স্বাগতিকদের জন্য বড় একটি ধাক্কা।