যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপশ্চিম ও কানাডার পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নজীরবিহীন এ দাবদাহে চলতি সপ্তাহেই কানাডার শীতপ্রধান একটি শহরের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে কানাডার তাপমাত্রা কখনোই ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠেনি। দেশদুটির কর্মকর্তারা এখন সামনের কয়েকদিনের তীব্র গরম ও দাবানলের ঝুঁকি মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনে গরমের তীব্রতা বুধবার থেকে কমে এলেও এরই মধ্যে রাজ্যটিতে তাপপ্রবাহজনিত কারণে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পোর্টল্যান্ড যে কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত, সেই মাল্টনোমা শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যাদের মৃত্যুর জন্য প্রাথমিকভাবে হাইপারথারমিয়াকে দায়ী করেছেন কাউন্টিটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
তাকে উদ্ধৃত করে দেওয়া সরকারি এক বিবৃতিতে পরিস্থিতির তুলনা করতে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অরেগনে হাইপারথারমিয়ায় মাত্র ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলেও জানানো হয়। গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যটির হাসপাতালগুলোতে গরমজনিত অসুস্থতা নিয়ে আসা রোগীর চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছে অরেগনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় পাঁচ দিনে ৪৮৬টি হঠাৎ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এই সংখ্যা প্রদেশটিতে সাধারণত এই সময়ে স্বাভাবিক মোট মৃত্যুর প্রায় তিনগুণ বলে বুধবার জানিয়েছে সেখানকার ময়নাতদন্তকারী বিভাগ। এটা প্রকৃতই স্বাস্থ্য সংকট, যা দেখাচ্ছে, তীব্র তাপপ্রবাহ কতটা প্রাণঘাতী হতে পারে। আমাদের গ্রীষ্মগুলো এখন ক্রমাগত উষ্ণ হচ্ছে, আমার আশঙ্কা আমরা ফের এ ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হবো, বিবৃতিতে বলেছেন মাল্টনোমা কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. জেনিফার ভাইনস।