পটিয়ায় বিরল প্রজাতির সোনালী বা ‘পিং এলভিনো’ এবং ভারতীয় ‘জাফরাবাদী মহিষ নজর কাড়ছে মানুষের। উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের জিরি মাদ্রাসা সড়কস্থ ‘কাদের এগ্রো ফার্মে’ এ দুটি মহিষ দীর্ঘ সাত মাস ধরে লালন পালন করে আসছিল ফার্মের স্বত্বাধিকারী আবদুল কাদের।
খামার থেকেই জাফরাবাদী মহিষটি ৮ লাখ টাকায় এবং সোনালী জাতের এ মহিষটি সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। শারীরিক গঠনে ব্যতিক্রম এ মহিষগুলো দেখতে এ এগ্রোতে প্রতিদিন ভিড় করছে মানুষ। মানুষের বিরক্তির কারণে বাজারেও নিতে অনিহা মহিষের মালিকের। স্থানীয় এক আমেরিকা প্রবাসী এ দুটি মহিষ কোরবানি উপলক্ষে কিনে নেয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সোনালী প্রজাতির থাইল্যান্ডের এ মহিষের চোখ দুইটি দুই রঙের। এর মধ্যে একটি চোখ ব্লো রঙের অন্যটি কালো রঙের এবং মাথা ও শিং থেকে খুরা পর্যন্ত পিংক কালারের। উচ্চতা ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি।
অন্যদিকে ভারতীয় জাফরাবাদী ২৭ মণ ওজনের মহিষের বিশালাকৃতির ব্যতিক্রমী মাথা ও মুখমন্ডল। চোখ দুটি খুবই ছোট। দেখতে অনেকটা হাতি আকৃতির চোখের মতই। উচ্চতা ৫ ফিট ২ ইঞ্চি।
জানা যায়, দীর্ঘদেহী জাফরাবাদী জাতের এ মহিষগুলো সর্বোচ্চ ১২শ’ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ভারতের গুজরাটের কুচ ও জামালনগর জেলায় এ মহিষগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে সোনালী প্রজাতির এ মহিষগুলো থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়। এ মহিষগুলোর ওজন ৯শ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কাদের এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আবদুল কাদের বলেন, গরু, মহিষ ও দুগ্ধজাত গরুর তিনটি পৃথক সেট রয়েছে আমার খামারে। গত ৭ মাস পূর্বে উত্তরবঙ্গ থেকে এ মহিষগুলো ক্রয় করা হয়।