নজরুল কালচারাল একাডেমী চট্টগ্রামের ২০ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও শিশু–কিশোরদের নজরুল উৎসবে বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন বলেছেন, কবি নজরুল ইসলাম বাংলার সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে ঋদ্ধ করেছেন। তাঁর রচিত সাহিত্য–গান বাঙালির শেকড় ও অস্তিত্বের ঠিকানা। প্রেম, বিরহ, স্বদেশপ্রেম, অসামপ্রদায়িকতা, সাম্যবাদ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার, প্রতিটি বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলামের তেজোদ্দীপ্ত কবিতা, গান, ও সাহিত্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে যুগে যুগে কালে কালে। তাঁর কালজয়ী সংগীত সম্ভার নবীন প্রজন্মকে আজও দেশপ্রেমের গভীর মন্ত্রে দীক্ষিত করে। তিনি বলেন, আজ একাডেমীর পক্ষ থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অথবা মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে জাতীয় কবির প্রতিকৃতি স্থাপনের যে দাবি জানানো হয়েছে তার জন্য এবং নজরুল সংগীত চর্চা আরো কিভাবে চট্টগ্রামে বাড়ানো যায়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত ১৭ জানুয়ারি নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়নে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উৎসব উদ্বোধন করেন–বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ওস্তাদ সালাউদ্দিন আহমদ। একাডেমীর পৃষ্ঠপোষক ও নজরুল সংগীত শিল্পী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, শিল্পী রিয়াজ ওয়ায়েজ। সংগীতজ্ঞ মিলন কান্তি মজুমদার ও উস্তাদ মাসুদ হোসেনকে একাডেমীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন, একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তাপস কুমার বড়ুয়া। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল তিন প্রজন্মের সংগীত পরিবেশনা। এতে শিল্পী তাপস কুমার বড়ুয়া, তাঁর উস্তাদগণ ও অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীরা দলীয় ও একক সংগীতে অংশগ্রহণ করে। সঞ্চালনায় ছিলেন, বাচিক শিল্পী নিশিতা বড়ুয়া নিপা। এ উপলক্ষে লেখক–সাংবাদিক বিপ্লব বড়ুয়ার সম্পাদনায় ‘আলোর অভিযান’ নামে স্মারক সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।