জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, জাতি হিসেবে বাঙালির পরিপূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে অপরিহার্য সেখানে ‘নজরদারিপ্রযুক্তি’ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে এবং বাঙালির তৃতীয় জাগরণের পর্যায় বাধাগ্রস্ত হবে, যা বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে প্রচন্ড হুমকি। ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক বিতর্কিত ‘নজরদারিপ্রযুক্তি’ কেনা সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন। এই প্রযুক্তি সংবাদপত্রের তথা গণমাধ্যমসহ সকল ধরনের মত প্রকাশে ত্রাসের ভূমিকা গ্রহণ করবে।
এমন ভয়ঙ্কর হাতিয়ার শুধুমাত্র বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করবে না, ভূ-রাজনীতির অপকৌশলের প্রয়োজনে সরকারকেও জিম্মি করে ফেলবে এবং সরকার পতনকেও ত্বরান্বিত করবে। এই ভয়ঙ্কর প্রযুক্তি ব্যবহার হবে সকলের জন্যই আত্মঘাতী। কার স্বার্থে, কী প্রেক্ষিতে, কী উদ্দেশ্যে নজরদারিপ্রযুক্তি কেনা হয়েছে তা জনগণকে অবশ্যই অবহিত করতে হবে। আমাদের সংবিধান যেখানে তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা সুরক্ষা এবং বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে সেখানে এই ধরনের প্রযুক্তি মৌলিক অধিকার হরণে বিরাট ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। সরকারের কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত জনগণকে রাষ্ট্রীয় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।
সরকারের মিথ্যাচারে জনগণের মনে ক্রোধের জন্ম হচ্ছে, দমন করা ক্রোধ একদিন প্রতিশোধের রূপ নিতে পারে, যা হবে ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম ক্লাবে আয়োজিত জেএসডি প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. জবিউল হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, চট্টগ্রাম জেএসডি নেতা আব্দুল মান্নান মাস্টার, সরোয়ার হোসেন, মুজতবা কামাল, মাহাবুর রহমান, আবু তাহের, নুরুল ইসলাম খান, আব্দুল মালেক গাজী, মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
