দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (সর্বশেষ বিলুপ্ত কমিটির) এমদাদুল হক বাদশাকে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল। তবে বহিষ্কৃত এমদাদুল হক বাদশা দাবি করেছেন, সামনে নগর যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হবে। এতে তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। কমিটি গঠনের আগে তাকে ষড়যন্ত্র করে বহিষ্কার করা হয়। এতে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় এক বিএনপি নেতার হাত রয়েছে বলেও আজাদীর কাছে দাবি করেন তিনি।
এমদাদুল হক বাদশা আজাদীকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট থাকলে কেন্দ্রের উচিত ছিল আমাকে ডাকা, আমার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া। সেটাই নিয়ম। কিন্তু সেটা না করে আমাকে চাঁদাবাজ তকমা দিয়ে দিল। যেহেতু চাঁদাবাজ বলেছে তার মানে আমি কোথায় চাঁদাবাজি করেছি সেই তথ্য কেন্দ্রে থাকবে। আমি সেই তথ্য জানতে চাইব। যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে না পারে মিথ্যে চাঁদাবাজের তকমা তো দিতে পারে না। আমারও তো পরিবার আছে। রাজনীতি করি বলে তাদের কাছে, সমাজের কাছে তো ছোট করতে পারে না। ইনজাস্টিস কেন হবে।
বাদশা বলেন, চার মাস আগে আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেলে তখন কেন বহিষ্কার করেনি। এখন মিডফোর্টের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং সামনে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বহিষ্কার করেছে। এমদাদুল হক বাদশাকে বহিষ্কারের বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল। কোন ঘটনায় বাদশাকে বহিষ্কার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিস্তারিত সভাপতি–সম্পাদক জানবেন। ওনাদের কাছে অভিযোগ আসে। তবে একবার এক মহিলা বাদশার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে কেন্দ্রীয় একটি টিম তদন্তও করে।
এদিকে এমদাদুল হক বাদশাকে বহিষ্কার করে দেয়া কেন্দ্রীয় যুবদলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দখলবাজি ও চাঁদবাজির অভিযোগে গঠিত তদন্ত টিমের প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে এমদাদুল হক বাদশাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেছেন। এতে আরো বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। তাদের সঙ্গে যুবদলের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কোনো সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে এমদাদুল হক বাদশা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ভবিষ্যতে বেআইনি কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টাবর মাসে এক নারী সংবাদ সম্মেলন করে বাদশার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেন। পরে নভেম্বর মাসে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।