নগর বিএনপি নেতা তোতনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কর্মী সমাবেশ বানচাল চেষ্টার অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

চলমান কর্মী সমাবেশ ‘বানচালের’ চেষ্টার অভিযোগ এনে নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস কে খোদা তোতনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর এ নোটিশের জবাব দিতে তাকে ৭ দিন সময় বেধে দেয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। গত বুধবার রাতে এ শোকজ করা হলেও গতকাল শনিবার বিকেলে তা জানাজানি হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেন।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পাঁচলাইশ থানা বিএনপির কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলমান অবস্থায় নিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কর্মীসভা বানচাল করতে অশোভন আচরণ করেছেন তোতন। এতে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, থানা ভিত্তিক ঘোষিত নগর বিএনপির কর্মী সমাবেশগুলো বানচাল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তোতন। প্রতিনিয়ত দলের ভিতর গ্রুপিং সৃষ্টি করে দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্গন করে আসছেন তিনি।
নোটিশে বলা হয়, আপনার (তোতন) মদদে নগর বিএনপির বহু সভা-সমাবেশ পণ্ড হয়েছে এবং সে সুযোগে প্রশাসন দলের বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ও অনেকে কারান্তরীণ হয়। এসব কর্মকাণ্ডে দলের গঠনতন্ত্র এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী হওয়ায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৭ দিনের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এস কে খোদা তোতন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বিশৃঙ্খলা হলে তো মিটিংই নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। তাছাড়া এটা তো জনসমাবেশ না, কর্মীসভা ছিল। কর্মীসভায় প্রত্যেকে নিজের মতামত জানাবেন, একটু হৈ চৈ হওয়াও অস্বাভাবিক না। যা জনসভায় যা হয় না। তিনি দাবি করেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক কোটা মেইনটেইন করেন। অন্যদের কথা শুনতে চান না।
এদিকে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির কর্মী সমাবেশে উপস্থিত এক নেতা জানিয়েছেন, সমাবেশের দিন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঙ্গে তোতনের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। বিএনপির সভায় যুগ্ম আহ্বায়কদের বক্তব্য দিতে না দেয়া নিয়েই এ কথা কাটাকাটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন মাসে ২১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ
পরবর্তী নিবন্ধসরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি : তথ্যমন্ত্রী