বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেনকে মারধরের অভিযোগে নগর পুলিশের ডিসি, এসি, ওসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫ ধারায় মামলাটি করেছেন ভিকটিমের ভাই মো. নজরুল ইসলাম। আসামিরা হলেন নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের সাবেক ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান, কোতোয়ালী জোনের এসি অতনু চক্রবর্তী, কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি এস এম ওবায়েদুল হক, বাকলিয়া থানার সাবেক ওসি আফতাব উদ্দিন, কোতোয়ালী থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর (ট্রাফিক) মো. মিজানুর রহমান, বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম, কোতোয়ালী থানার এসআই মো. মেহেদী হাসান, এসআই গৌতম, বাকলিয়া থানার এসআই মো. মিজান, কোতায়ালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রুবেল মজুমদার, এএসআই রনেশ বড়ুয়া, কোতায়ালী থানার মুন্সী মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. কামাল ও বাকলিয়া থানার কনস্টেবল মো. ইলিয়াছ।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার দিপেন দাশ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি সিআইডকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ১৮ আগস্ট নাজমুল হোসেনকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাকে চান্দাগাঁও ও কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং একইভাবে মারধর করা হয়। পরে বাকলিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সুস্থ হয়ে না উঠার আগে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেখানে ১৪ দিন তিনি বন্দী ছিলেন।