আমাদের প্রিয় শহরের সবচাইতে আকাঙ্ক্ষিত স্থানে এমন কোন ঠিকানা কি খুঁজেছেন, যা আপনার চিন্তাধারা এবং ভাবনার সাথে মিলে যায়। এমন একটি ঠিকানা যা আপনার ও আপনার প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত আবাস স্থল হবে ভবিষ্যত। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ এবং কোলাহল মুক্ত সে রকম একটি পরিপূর্ণ ঠিকানায় আপনাকে আমন্ত্রণ। এখানে বাচ্চাদের খেলাধুলার পরিবেশ অবারিত ও উন্মুক্ত, নিরাপদ। সমকালীন কর্মমুখর ব্যস্ত জীবনের সকল প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন চাহিদা, স্কুল, কলেজ, বাজার, কর্মস্থল, যাতায়াতের বহুমুখী সুবিধা সম্পন্ন ‘ইকুইটি মিডসিটি’ কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্পে আপনাকে স্বাগতম।
সময়োপযোগী ডিজাইন এবং কার্যকর উপযোগ (ইউটিলিটি) সেবায় সমৃদ্ধ, রয়েছে মনোরম ল্যান্ডস্কেপিং, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা। স্বাস্থকর পরিবেশে বসবাসের সকল প্রয়োজনীয় উপাদান এখানে বিদ্যমান। আপনার ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে উন্মোচিত করুন প্রকৃতির সাথে নগরজীবনের মেলবন্ধনে রচিত একটি আধুনিক এবং পরিপূর্ণ জীবন মানসম্পন্ন আবাসন প্রকল্প ইকুইটি মিডসিটি, নগরের বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র আগ্রাবাদ ৪৫ কাঠা জায়গার উপর নির্মিয়মান এ আবাসন প্রকল্প আপনার জীবন ধারায় নতুনত্ব আনবে, যা আপনি দীর্ঘদিন থেকে চাইছেন।
বাণিজ্যিক এলাকায় প্রথম কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্প: অবস্থান বিবেচনায় চট্টগ্রামের অগ্রসরতায় অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম, চট্টগ্রামের সচিবালয় হিসেবে খ্যাত সরকারি কার্যভবন-১ থেকে শুরু করে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার, স্টক একচেঞ্জ এবং অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় আগ্রাবাদে অবস্থিত। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, তারকামানের হোটেল ও শপিংমল এবং একসাথে অনেক জনপ্রিয় খাবারের স্থান আগ্রাবাদকে করেছে অনন্য। গুরুত্ব উপলব্দি করে ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড জাতিতাত্বিক জাদুঘরের পেছনে ৪৫ কাঠা জায়গায় ১৭ তলা ভবনে ১৪৮ টি এপার্টমেন্ট নিয়ে ইকুইটি মিডসিটি নামে প্রথম কন্ডোমনিয়াম প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে নাগরিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার সর্বোচ্চ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের স্থপতি হচ্ছেন আর্কিটেক্ট উ থেন য়াইন।
আকর্ষণীয় মূল্য এবং দীর্ঘমেয়াদী কিস্তি সুবিধা: এপার্টমেন্ট এখন বিলাসিতা নয়, বরং জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। ক্রেতাদের পছন্দের কথা বিবেচনা করে প্রকল্পে মোট ১০ সাইজের এপার্টমেন্ট রাখা হয়েছে। চাহিদা এবং বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী যা সবার জন্য অনুকূল এবং সাশ্রয়ী। গ্রাহকেরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬০ কিস্তিতে এপার্টমেন্টের মূল্য পরিশোধের পাশাপাশি শর্তানুযায়ী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘমেয়াদী গৃহঋণ সুবিধা পাবেন।
অনুকূল এবং গ্রহণযোগ্য পরিবেশ: ৪৫ কাঠা জমির উপর গড়ে উঠেছে ইকু্ইটি মিডসিটি। সবুজ স্থাপত্য নকশায় ১৭ তলা ভবনের মোট এপার্টমেন্ট রয়েছে ১৪৮টি। একেকটা এপার্টমেন্ট আকার ১২৫৬ বর্গফুট থেকে ১৫২৪ বর্গফুট। ভবনের সেমি এবং সেমি বেসমেন্ট চার স্তরে মোট ৮৪টি কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রকল্পের খোলামেলা পরিবেশ স্বাগত জানাবে আপনাকে। দ্বিগুণ উচ্চতার অভ্যর্থনা কেন্দ্রে অতিথিদের বসার জায়গার পাশাপাশি থাকবে অনেক খোলা জায়গা। এ ভবনে প্রায় ৭ কাঠা জায়গার উপরে থাকবে সবুজ মাঠ যেখানে ঘাসের উপর হাঁটার ব্যবস্থার পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলাধুলা করার সুযোগ তো থাকছেই। সীমানা দেয়াল ঘেষে থাকবে গাছপালা যাতে ভবনের বাসিন্দারা বাড়ির চার দেয়ালের মধ্যেই একটু দম ফেলার ফুরসত পাবেন। ভবনে উঠা-নামার জন্য ৪টা সুপরিসর প্রশস্ত উচ্চগতি সম্পন্ন লিফট এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী হেলথ ক্লাব। ভবনের বাসিন্দাদের প্রাইভেসি রক্ষা এবং লিফটের উপর বাড়তি চাপ কমাতে কমিউনিটি হল রাখা হয়েছে ভবনের প্রথম তলায়। নিজস্ব জেনেরেটরের মাধ্যমে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ, নিজস্ব পানি শোধনাগার, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।
মেঘের সাথে নদী আর সাগরের মিতালি : দক্ষিণমুখি এই ভবনটি থেকে একদিকে কর্ণফুলী এবং অপরদিকে বঙ্গোপসাগর দেখা যাবে। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সামনের চোখ মেললেই দেখা পাবেন সবুজের। মন চাইলে সকালে বা বিকালে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা হাতে ডুব দিতে পারেন প্রকৃতির মাঝে। আর মেঘেদের খেলার মাঠ নীল আকাশটা তো রয়েছে দুই হাত বাড়িয়ে।
প্রশান্তির এক জীবন : আপনি বিকেলে সবুজ ঘাসের লনে বসে চায়ের কাপ চুমুক দিতে দিতে ম্যাগাজিনে চোখ বুলাচ্ছেন। আর আপনার সন্তান হয়তো সাত সকালেই ঘাসের মধ্যে লুটোপুটি করছে। আপনার কল্পনার এই মনোরম দৃশ্যই বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে ইকু্ইটি মিডসিটি প্রকল্পে। আর ছাদে বসে দূরের নীল আকাশ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা জাহাজের দৃশ্য আপনার মন স্পর্শ করবেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।