শুরু হয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে সম্মেলনের প্রস্তুতি। ঈদের পরপরই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের অন্যতম প্রধান সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন শেষে কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের) জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঈদের পরে জুনে নগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল রহমান সোহাগ ঈদের পর সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ঈদের পর মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলনের জন্য কেন্দ্র থেকে তারিখ ঘোষণার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের যুবলীগের নেতাদের। তবে একেবারে রিলাক্স মুডে আছেন নগর ছাত্রলীগের নেতারা। নেই সম্মেলনের কোনো উদ্যোগ বা প্রস্তুতি। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোতে সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হলেও কেন্দ্রের কোনো সংকেত না পেয়ে একেবারে টেনশন ফ্রিতে আছেন মহানগর ছাত্রলীগ।
গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নগরীর ১৫ থানার সাংগঠনিক টিমের প্রধানের সঙ্গে মিটিং শেষে সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ঈদের পরে জুনে নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সাথে আলাপ করে নেত্রীর সুবিধা মত একটি তারিখে নগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল করতে চাই। একই সাথে ঈদের পর পরই মহানগর আওয়ামী লীগের অসম্পন্ন ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন করার করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এজন্য ১৫ থানায় ১৫টি সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঈদের পরপরই মে-জুনে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ধারাবাহিকভাবে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে তিন জেলার যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। তিনি ঈদের পর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।












