‘অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে দ্রুত নতুন কমিটি দেয়ার দাবিতে’-নগরীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ‘আকুল আবেদন’ শিরোনামে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর তৃণমূল আওয়ামী লীগের নামে এই ব্যানার লাগানো হয়েছে। নগরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে এই ধরনের ব্যানার ঝুলতে দেখা গেছে।
গত ৩/৪ দিন ধরে (বুধবার-বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) নগরীর স্টেডিয়ামের মোড় (রেডিসনের প্রবেশ মুখে), টাইগারপাস ও লালখান বাজার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ‘আকুল আবেদন’ শিরোনামে-লাল রঙে লেখা ব্যানার দেখা যাচ্ছে। ব্যানারে লেখা আছে ‘মাননীয় সভানেত্রী-দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বিলুপ্তি চাই এবং দ্রুত নতুন কমিটি দেওয়ার দাবি জানাই।’ ব্যানারের নিচে লেখা আছে ‘চট্টগ্রাম মহানগর তৃণমূল আওয়ামী লীগ।’
স্বাভাবিকভাবেই মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর। প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি ও আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। তিন বছরমেয়াদী এই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে চার বছর আগে। এর মধ্যে তিন বছর আগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রথম সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এ ছাড়া কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আগামী নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল। এখানে সম্মেলনের দাবি উঠবে, নতুন নেতৃত্বের দাবি উঠবে। সম্মেলনের দাবিতে-নেতৃত্বের দাবিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকবে। এরজন্য পোস্টার-ব্যানার-পেস্টুন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যত দ্রুত সম্ভব মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হবে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। বহুল কাক্সিখত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমাদের এখন পরিকল্পনায় রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তার আগে আমরা উপজেলা সম্মেলনগুলো শেষ করবো। অনেকদিন ধরে এই উপজেলা ও জেলা এবং সিটির সম্মেলন আটকে আছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলার পাশাপাশি আমরা কক্সবাজার সম্মেলন করবো, রাঙামাটি সম্মেলন করবো।