নগরে ১৮ হোটেলের লাইসেন্স বাতিলের অনুরোধ

অসামাজিক কর্মকাণ্ড জেলা প্রশাসকের কাছে কোতোয়ালী থানার ওসির চিঠি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৪ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে চিঠি দিয়েছেন সিএমপির কোতোয়ালী থানার ওসি মো. জাহিদুল কবীর। চিঠিতে তিনি কোতোয়ালী থানা এলাকার ১৮টি হোটেলের নাম উল্লেখ করেছেন। ইতোপূর্বে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন সময় অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে নগরীর বিভিন্ন হোটেল ও কটেজে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি পাঠানোর ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে ওসি কোতোয়ালী মো. জাহিদুল কবীর আজাদীকে বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ চট্টগ্রামে সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা এমন পরিস্থিতিরও মুখোমুখি হয়েছি যে, গত মাসে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ছেলেমেয়ে আটক করেছি। এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে এসেছি। এরপর চলতি মাসে একই হোটেলে অভিযান চালাতে গিয়ে দেখেছি, আবারও ব্যবসা চলছে ওই হোটেলে। তাই এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর ১৮টি হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।

হোটেলগুলো হলো বিআরটিসি এলাকায় হোটেল সিলভার ইন ও হোটেল হিলটাউন আবাসিক, স্টেশন রোডে হোটেল গেইটওয়ে আবাসিক, হোটেল মেট্রো ইন, হোটেল গেস্ট ইন, ইকবাল বোর্ডিং, হোটেল গণি আবাসিক ও হোটেল ঢাকা আবাসিক, রঙ্গম কনভেনশন হল রোডের হোটেল ক্যামেলিয়া (সাবেক হোটেল সম্রাট), ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাটে হোটেল নেভাল আবাসিক ও হোটেল কর্ণফুরী আবাসিক, নন্দনকানন শিক্ষা অফিসের পাশে হোটেল মুসলিম আবাসিক ও হোটেল বিরাজ, জহুর হকার্স মার্কেটের পাশে লয়েল রোডে হোটেল দরবার আবাসিক ও হোটেল আদর আবাসিক, পুরাতন গির্জা রোডে হোটেল লুসাই ইন, কেসিদে রোডে হোটেল সাউদিয়া এবং নবগ্রহ বাড়ির পাশে হোটেল এস নাইট (সাবেক সুপার হেস্ট হাউস)

ওসি কোতোয়ালী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, আলোচ্য হোটেলসমূহে প্রায় সময় আবাসিক রুম ভাড়া দেওয়ার আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। উক্ত হোটেলসমূহ থেকে বেশ কয়েকবার নারীপুরুষদের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারদের বারবার অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থেকে লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আবাসিক হোটেলে সাধারণ বোর্ডারদের কাছে রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এজন্য হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোশাক রপ্তানির আড়ালে ১৪৭ কোটি টাকা পাচার
পরবর্তী নিবন্ধরেলে ডাবল ডেকার কোচ যুক্ত করার পক্ষে সংসদীয় কমিটি