চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৭টি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬–১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২–৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর চসিক জেনারেল হাসপাতালে (মেমন–২) এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরের বাইরে ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডের ৮ লাখ ২ হাজার ৭০০ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো। এরমধ্যে ৬–১১ মাসের শিশু রয়েছে ৮৯ হাজার ৩৭৩ জন, ১২–৫৯ মাসের শিশু রয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৩২৭ জন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন–এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মেয়র শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি জনিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান অভিভাবকদের প্রতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ দিদারুল মনির, ডা. মামুন রশিদ, ডা. মিজানুর রহমান।
একইদিন চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে এ কার্যক্রম। এবারের ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থায়ী টিকা কেন্দ্র তৈরি করা হয় ১৭টি কেন্দ্র, ভ্রাম্যমাণ ১৫টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে ৪ হাজার ৮০০টি। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন তৌহিদুল ইসলাম, এমওডিসি ডা. নুরুল হায়দার, স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।