নগরে পৃথক দুই ছিনতাই উবার চালকসহ গ্রেপ্তার ৩

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৮ জুলাই, ২০২১ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে পৃথক দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবার নেটওয়ার্ক উবারের এক মোটরসাইকেল চালকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় দুপুরে এবং চকবাজার থানা এলাকায় রাতে দুটি পৃথক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ এক নম্বর সড়কে কর কার্যালয়ের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসকেপ বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা চিন্ময় সাহা। চিন্ময় বলেন, ষোলশহর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কার্যালয়ের সামনে থেকে আমি কর অফিসে যাওয়ার জন্য উবারের মোটরসাইকেলে উঠি। কিন্তু মোটরসাইকেলটি টাইগার পাস এলাকায় আসার পর বিধিনিষেধ অমান্য করায় ট্রাফিক পুলিশ সেটি আটক করে জরিমানা করে। আমি নেমে রিকশায় করে এগোতে থাকি। চৌমুহনী এলাকায় পৌঁছার পর মোটরসাইকেলটি পেছন থেকে এসে আমাকে আবারও তুলে নেয়। দুপুর ১টার দিকে সিডিএ আবাসিক এলাকা একেবারে জনশূন্য ছিল। উবার চালক আমাকে সেখানে নামিয়ে দেয়। আমি ভাড়া দেওয়ার জন্য মানিব্যাগ বের করি। এসময় একটি ফোন এলে আমি মোবাইলও বের করি। উবার চালক আমার হাত থেকে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা দামের মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়। তখনো আমি মোটরসাইকেলে বসা ছিলাম। মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সে দ্রুত গাড়ি টান দিলে আমি পেছন থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে উবার চালকের বাসার ঠিকানা শনাক্ত করি। তার বাসা নিউমুরিং এলাকায়। গতকাল (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। ছিনতাই করা মোবাইলটিও আমরা পেয়েছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর চকবাজার থানার ফুলতলা খালপাড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন দেলোয়ার হোসেন নামে এক তরুণ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দু’জন হলেন ওমর ফারুক রুবেল (৩১) ও মো. রাশেদ (২৮)। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ জানান, দেলোয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে চকবাজার মোড়ে স্যান্ডেল কিনতে গিয়েছিলেন। বিধিনিষেধের কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় স্যান্ডেল না পেয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন। ফুলতলা খালপাড় এলাকায় রুবেল, রাশেদ ও সাকিব তাকে আটকে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও নগদ ৪৩০ টাকা ছিনতাই করে। তারা চলে যাওয়ার সময় দেলোয়ারের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে রুবেলকে ধরে ফেলে। পরে রুবেলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে রাশেদকেও গ্রেপ্তার করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬নং ওয়ার্ডে অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধলকডাউন অকার্যকর হয়ে পড়েছে : ডা. শাহাদাত