নগরে ছয়দিনব্যাপী ফার্নিচার মেলা শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ছয়দিনব্যাপী ১২তম চট্টগ্রাম ফার্নিচার মেলা২০২৩। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় মেলা প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগ এ মেলার আয়োজন করছে। ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চিটাগাং ইভেন্টস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ফার্নিচার শিল্প আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও করোনা ভাইরাসের ধাক্কা কাটতে না কাটতেই শুরু হয় রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। এর প্রভাব ফার্নিচার শিল্পেও কিছুটা পড়েছে। তবে ফার্নিচার শিল্প মালিকরা আজকে মেলার মাধ্যমে নিজেদের উৎপাদিত বাহারি ডিজাইনের ফার্নিচার ক্রেতা দর্শনার্থীদের জন্য মেলায় উপস্থাপন করছেন। আশা করি যে উদ্দেশ্য নিয়ে ফার্নিচার মেলার আয়োজন করা হচ্ছে সেটি সফল হবে।

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি সৈয়দ এএসএম নুরউদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফার্নিচার মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. ইলিয়াস সরকার, রিয়েল এস্টেট হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ূম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক নুরুল আজম খান, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ও কমিটির সদস্য সচিব আল মো. ইকবাল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আসকার দীঘিইউনিটের সভাপতি সৈয়দ আইএম ইফতেখার উদ্দিন, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ইউনিটের সভাপতি সাইফুউদ্দিন চৌধুরী দুলাল, বলিরহাট ইউনিটের সভাপতি মুজিবর রহমান, ফার্নিচার মেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জসিম, শাহিনুল হক টুটুল, মো. ইয়াছিন, মো. আবদুল মালেক ও চিটাগাং ইভেন্টসের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা বেগম, চিটাগাং ইভেন্টসের সিইও মো. মনজুরুল ইসলাম রায়হান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মেলা কমিটির সদস্য মো. মহিউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে আসবাবপত্রের নিত্য নতুন ডিজাইন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। মানুষ এসব ডিজাইনগুলো দেশীয় প্রতিষ্ঠানে খুঁজে বেড়ায়। রুচিশীল মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির আওতাভুক্ত সকল ফার্নিচার প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিকমানের আসবাবপত্র তৈরি করে থাকে। ফার্নিচার শিল্পের বিকাশে এ মেলার গুরুত্ব রয়েছে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে ফার্নিচার শিল্পকে রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত করা এ মেলা আয়োজনের মূল লক্ষ্য। এবারের মেলায় ১২টি প্রতিষ্ঠান কোস্পন্সর হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন। মেলা উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী আসবাবপত্র তৈরি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ ছাড় প্রদান করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুষ্ঠু উপনির্বাচনে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দেখছেন কাদের
পরবর্তী নিবন্ধকমছে মিঠা পানির জলাভূমি বাড়ছে নোনা পানির আগ্রাসন