করোনা থেকে সুরক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, শ্রমজীবী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদেরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বাকলিয়া বাস্তুহারা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যানারে ১ হাজার ৫শ ও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়ৎদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে আরও ১ হাজারসহ মোট ২ হাজার ৫শ জন মানুষকে অ্যাস্ট্রোজেনেকার ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২ মাস পর তাদেরকে ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। বাস্তুহারায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। সরকারি গাড়ি চালক সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি ও অন্যান্য সংগঠনের সহযোগিতায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের আয়োজন করেন। বাকলিয়া বাস্তুহারা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি উত্তম কুমার সুশীলের সভাপতিত্বে ও মো. সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকলিয়া বাস্তুহারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমির হোসেন, মো. মুক্তার আলী, মো. এয়াছিন আরাফাত বিটু, মো. খোরশেদ আলম। বক্তব্য রাখেন শওকত ইসলাম সুজন, অরুণ দাশ, মোছাম্মৎ ইয়াছমিন প্রমুখ। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়ৎদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক। ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আমাদের সকলকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সরকারের নির্দেশে চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রত্যেক মানুষকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই বা থাকলেও কোন কারণে সুরক্ষা অ্যাপ্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নির্দিষ্ট কার্ডে লিখে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মনে আছে তাদের নম্বর ঐ কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ ভ্যাকসিন না পেয়ে থাকবে না। এটা বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এদিকে ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন নগরীর বন্দর থানাধীন গোসাইলডাঙ্গায় ও হালিশহর থানাধীন ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী আবদু পাড়ায় ৩ হাজার শ্রমজীবী মানুষকে অ্যাস্ট্রোজেনেকার ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












