নগরে ওএমএস ডিলারের সংখ্যা ও বরাদ্দ দ্বিগুণ হচ্ছে

সিটি মেয়রের প্রস্তাবে খাদ্য উপদেষ্টার সম্মতি ১ জন ডিলারের বরাদ্দ ১ টন চাল ও ১ টন আটা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ওএমএস (খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি) ডিলারের সংখ্যা এবং বরাদ্দ দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪৮ জন ওএমএসের ডিলারের মধ্যে একজন ডিলার মারা গেছেন এবং একজনের ডিলারশিপ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে নগরীতে ৪৬ জন ওএমএস ডিলার সক্রিয় রয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কয়েকজন ওএমএস ডিলারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একজন ডিলার একদিন পরপর চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ১টন চাল এবং ১ টন আটা বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। সরকারি সিদ্ধান্তে সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ওএমএস বন্ধ থাকে। বাকি ৫ দিনের মধ্যে একজন ডিলার সপ্তাহে ২ থেকে ৩দিন বরাদ্দ (চাল ও আটা) পেয়ে থাকেন। একজন ভোক্তা ডিলারের নির্দিষ্ট দোকান থেকে ২৪ টাকা দামে (প্রতি কেজি) ৫ কেজি আটা এবং ৩০ টাকা দামে (প্রতি কেজি) ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের হিসাব মতে, নগরীতে ৭০ লক্ষ লোকের বসবাস। এই ৭০ লক্ষ লোকের জন্য বর্তমানে ৪৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তা খুবই অপ্রতুল।

গত ২১ জানুয়ারি খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার রাষ্ট্রীয় সফরে চট্টগ্রাম আসলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সার্কিট হাউসে খাদ্য উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে এই বিষয়ে কথা বলেন। এসময় সিটি মেয়র

খাদ্য উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে ৮২ জন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি বরাদ্দও দ্বিগুণ করার জন্য অনুরোধ করলে খাদ্য উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে মেয়রের এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন বলে জানান ওই সময় উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের এক কর্মকর্তা।

নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার ৮২ জন করার পাশাপাশি বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য খাদ্য উপদেষ্টাকে দেয়া প্রস্তাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে ৪১ জন ওএমএস ডিলার রয়েছেন। এই নগরীতে যে পরিমাণ লোক বসবাস করে সেই তুলনায় ৪১ জন ওএমএস ডিলারের বরাদ্দ (চাল ও আটা) খুবই কম। বিষয়টি নিয়ে আমি খাদ্য উপদেষ্টার সাথে কথা বলেছি। উনার (খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার) কাছে আমি প্রস্তাব করেছি নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার দ্বিগুণ করে ৮২ জন করে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য। আমার প্রস্তাবে খাদ্য উপদেষ্টা সম্মত হয়েছেন। আমি আশা করছি নগরীতে ওএমএস ডিলার ও বরাদ্দ বাড়বে।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফখরুল আলম আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বর্তমানে নগরীতে ৪৬ জন ওএমএস ডিলার নিয়মিত বরাদ্দ পান। একজন ডিলার একদিন পরপর বরাদ্দ (১টন চাল ও ১ টন আটা) পেয়ে থাকেন। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ওএমএস বন্ধ থাকে। বাকি ৫ দিনের মধ্যে একজন ডিলার সপ্তাহে ২ থেকে ৩দিন বরাদ্দ (চাল ও আটা) পেয়ে থাকেন। গত ২১ জানুয়ারি খাদ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে সার্কিট হাউসে সিটি মেয়র দেখা করে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ওএমএস ডিলার ৮২ জন (প্রতি ওয়ার্ডে ২ জন করে) করার প্রস্তাব করেছিলেন। মেয়র সাহেবের প্রস্তাবে খাদ্য উপদেষ্টা মহোদয় সম্মত হয়েছেন। ওএমএসএর ডিলার বাড়লে বরাদ্দও বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফখরুল আলম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করুন : হাসনাত
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির ‘কথার টোন আওয়ামী লীগের সাথে মিলে যাচ্ছে’