নগরে ঐতিহাসিক সব স্থান সংরক্ষণের ঘোষণা মেয়রের

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নগরের যেসব স্থানে মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মৃতিময় স্থান রয়েছে তা সংরক্ষণ করে স্থাপনা ও ইতিহাস সম্বলিত স্মারক স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের তীর্থ স্থান। অনেক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা এই চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছে; ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক কালজয়ী ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। এইসব ঐতিহ্যবাহী স্থান শনাক্ত করে রক্ষণা-বেক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্বেষণ ও জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবন চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মেয়র। যুদ্ধকালীন ফটিকছড়ি থানা কমান্ডার আনোয়ারুল আজিমের সভাপতিত্বে ও কাজী আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, এ.কে.এম আবদুল মতিন চৌধুরী, এম.এন ইসলাম, ডা. সরফরাজ খাঁন চৌধুরী বাবুল, আবুল কাশেম চিশতী, এ.এইচ.এম জিলানী চৌধুরী, আবুল বশর, এড. মোহাম্মদ আলী, পান্টু লাল সাহা, মুনিরুল ইসলাম, নির্মল চন্দ্র নাথ, মীর কাশেম, আহমদ হোসেন, মোহাম্মদ ইউছুফ, এস.এম সেলিম, দেওয়ান মাকসুদ আহমদ, সৈয়দ মাহমুদুল হক, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রে আনার প্রয়াস হাতে নিয়েছি। চট্টগ্রাম জেলায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক অবস্থান নেই। তাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে সংগঠিত করতে চাই। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত বিএনপি চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। অন্যদিকে জঙ্গি তৎপরতাসহ দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে অশুভ শক্তির সকল চক্রান্ত রুখতে আমাদের সকলকে সংগঠিত হতে হবে। আনোয়ারুল আজিম আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেন মেয়রকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআলেমদের পরামর্শে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টন করলে কমবে পারিবারিক কলহ
পরবর্তী নিবন্ধমৃত্যুশূন্য দিনে করোনায় চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ৪৬ জন