নগরীর বাকলিয়া ও ডবলমুরিং থানায় পৃথক তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে দুজন যুবক ও একজন তরুণী। গত বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে এ ঘটনাগুলো ঘটে। প্রতিটি ঘটনা পারিবারিক কলহের জেরে ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজারের কাঁচাবাজার এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শামীম আরা (১৯) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক তদন্ত সাদিকুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে একই থানার রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মোহাম্মদ আলী হৃদয় (২০) নামে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪ টা ৪০ থেকে সকাল ৯টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, রসুলবাগ আবাসিক এলাকার এখলাছুর রহমান বাড়ির ড্রইংরুমের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। অন্যদিকে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার একটি ভবনে মোহাম্মদ পলাশ (১৮) নামে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অর্কিড হাউস নামের একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পলাশ ওই লাকার মোহাম্মদ ওসমানের ছেলে।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক তদন্ত সাদিকুর রহমান বলেন, ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রি পাড়ার একটি ভবনে আত্মহত্যা করা পলাশ নামে এক তরুণকে বৃহস্পতিবার চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেমৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সাথে অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছে।












