চলতি মাসের শেষের দিকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন অনলাইনে শুরু হবে। চট্টগ্রাম নগরের কয়েকটি সরকারি কলেজ এবার আসন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। তবে এবার বেশি আসন বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। কোন কলেজে কতটি আসন বাড়ানো হবে সেটি নিয়ে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিষয়াদিও কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এবার ফলাফল বিপর্যয় হওয়ায় অনেক কলেজে আসন খালি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নগরের কলেজগুলোর মোট আসনের মধ্যে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আসন রয়েছে ২ হাজার ৭৪০টি, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য ৩ হাজার ৭৭০টি এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজে মোট আসন আছে ১ হাজার ৪০টি, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ১ হাজার ৭২৫টি, সরকারি সিটি কলেজে ২ হাজার ১৮০টি, সরকারি কমার্স কলেজে ৯৭০টি, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে ১ হাজার ৪০০টি, বাকলিয়া সরকারি কলেজে ১ হাজার ৪৩৫টি, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ হাজার ৫০টি এবং কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩০০টি।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। এরমধ্যে কয়েকটি কলেজে এবার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে। সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০০টির মতো আসন বাড়তে পারে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
জানা গেছে, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ১৮১ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৪৩ জন শিক্ষার্থী। তুলনামূলক গত কয়েক বছরের মধ্যে পাসের হার ও জিপিএ–৫ এর সংখ্যা কমেছে এবার। এজন্য এবার আবেদনের সংখ্যা কমতে পারে। বেসরকারি অনেক কলেজে আসন খালি থেকে যায় শিক্ষার্থীর অভাবে। চট্টগ্রামে একাদশে কলেজ–মাদ্রাসা মিলে আসন আছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার। এরমধ্যে এসএসসিতে পাস করেছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও আসন খালি থেকে যেতে পারে।
এক শিক্ষক জানান, ভর্তির ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। জিপিএ–৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের ক্ষেত্রে ৫–৬টির বেশি কলেজ দেয় না। তাদের ধারণা, ৫–৬টি কলেজে আবেদন করলে নাম চলে আসবে। কিন্তু যেসব কলেজে তারা আবেদন করে, সেসব কলেজে তাদের তুলনায় বেশি নম্বর পাওয়া আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি থাকে। সে কারণে তাদের একটিতেও সুযোগ হয় না। কিন্তু ১০টি কলেজে আবেদন করলে এ সমস্যা হয় না। তবে এবার মনে হচ্ছে অনেক কলেজে আসন খালি থেকে যাবে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের উপ–কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, এবার কয়েকটি কলেজ থেকে আসন বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কিছু কলেজে সামান্য আসন বাড়তে পারে। তবে সেই সংখ্যা কম হবে। আর এবার ফলাফল বিপর্যয় হওয়ায় অনেক কলেজে আসন খালিও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভর্তি সংক্রান্ত এবং আসন বাড়ানো নিয়ে আমাদের কিছু নীতিমালা রয়েছে। সেগুলো কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। এরপর বিস্তারিত বলা যাবে।