চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঝটিকা পরিদর্শনের মাধ্যমে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও নগরীর পরিবেশ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছেন। নগরীর যেসব গুরুত্বপূর্ণ মোড় প্রশাসক পরিদর্শন করেছেন সেসব স্থান হলো জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার মোড়, সার্সন রোড, লালখান বাজার ও টাইগারপাস মোড়। এসব মোড় পরিদর্শনকালে দেখা যায় কোন-কোন মোড়ে দোকানিদের ফেলা ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। আবার কোন স্থানে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবক ও কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেনি। আবার কোন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবড়ো-থেবড়ো ভাবে গণপরিবহন, রিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে যানজটের সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব অব্যবস্থাপনা দেখে প্রশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থার পাশাপাশি যানজট নিরসনে সড়কের ওপর এলোমেলো করে রাখা যানবাহন ও গণপরিবহনগুলোকে সারিবদ্ধভাবে রাখার উদ্যোগ নেন।
এসময় প্রশাসক বলেন, বার বার অনুরোধ করার পরও কিছু মানুষ নাগরিক উপলব্দি হারিয়ে ফেলেছে। তারা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। যেমন চকবাজার গুলজার মোড়ের বই দোকানিরা। তারা ছেড়া কাগজপত্র ফেলেছে রাস্তার ওপর। অথচ এর পাশে বসে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই নোংরা পরিবেশে কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নোংরা মানসিকতার পরিচয় বহন করে। তাই নগরবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা নিজেরা পরিষ্কার থাকুন, আপনার আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশকেও নগরীর যানজট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সকালে কর্মজীবী মানুষ তার গন্তব্যের দিকে ছুটে, এটা স্বাভাবিক। অথচ এলোমেলো করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড়গুলোতে গণপরিবহন, রিকশা দাড়িয়ে থাকলে যানজটের ফলে মানুষের কর্মঘন্টার অপচয় হওয়ার কারণে ঠিক সময়ে কার্যসম্পাদন করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। আশাকরি ট্রাফিক পুলিশ বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।