সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও চাল ও আটার বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য অধিদপ্তরের খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির (ওএমএস) কর্মসূচি চালু রাখা হয়েছে। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ৪১ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪১ টন চাল ও ৪১ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। একই কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন ১ টন করে আটা।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে জানা গেছে, নগরীতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে একজন ক্রেতা ডিলারের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি করে চাল এবং ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি করে আটা পাচ্ছেন। উপজেলা পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৪ টাকা দামে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে দুজন করে ডিলার রয়েছেন। ডিলারদের কাছ থেকে একজন ক্রেতা ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি করে আটা পাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফখরুল আলম আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে প্রতিদিন একজন ডিলারকে ১ টন চাল এবং ১ টন আটা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ডিলারদের কাছ থেকে একজন ক্রেতা ৩০ টাকা দামে (প্রতি কেজি) ৫ কেজি চাল এবং ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি আটা পাচ্ছেন। উপজেলায় শুধুমাত্র ১ টন করে আটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১ টন আটা দুজন ডিলারকে ৫০০ কেজি করে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় চাল বরাদ্দ নেই। চাল ও আটার বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএস কর্মসূচির আওতায় যে চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, খোলা বাজারে সেই চালের দাম প্রতি কেজি ৬৫–৭০ টাকা। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ২৪ টাকার আটা খোলা বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিলাররা জানান, বাজার মূল্য থেকে অর্ধেকের চেয়ে কম দামে ভালো মানের চাল ও আটা ওএমএস কর্মসূচির আওতায় বিক্রি করায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নতুন ডিলারের মাধ্যমে এখন নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ওএমএসের পণ্য বিক্রি চলছে।








