চট্টগ্রাম মহানগরীর লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৯২টি অস্ত্রের কোন হদিস নেই। লাইসেন্স নেয়া ৪৫৪টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৩৮৪টি। এর মধ্যে ২২টি অস্ত্র বাইরের জেলার। সিএমপির বিভিন্ন থানায় গত ২৫ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দেয়া হয়েছে। সিএমপির থানাগুলো লাইসেন্স প্রাপ্তরা বিভিন্ন ধরণের বৈধ অস্ত্রের সাথে ১৯ হাজার ৬২৬ রাউন্ড গুলিও জমা দিয়েছেন। সিএমপির বিভিন্ন থানায় জমা দেয়া অস্ত্রের মধ্যে কোতোয়ালী থানায় ৫৩ টি অস্ত্র ও ৩ হাজার ৫২৭ রাউন্ড গুলি, বাকলিয়া থানায় ৫ টি অস্ত্র ও ১৫৮ রাউন্ড গুলি, সদরঘাট থানায় ২১টি অস্ত্র ও ৭৫৭ রাউন্ড গুলি, চকবাজার থানায় ৩১টি অস্ত্র ও ৯৩১ রাউন্ড গুলি, চান্দগাঁও থানায় ২৫টি অস্ত্র ও ১ হাজার ১৭০ রাউন্ড গুলি, পাঁচলাইশ থানায় ৯৫টি অস্ত্র ও ৫ হাজার ৩৬৮ রাউন্ড গুলি, খুলশী থানায় ৭০টি অস্ত্র ও ৩ হাজার ১৬২ রাউন্ড গুলি, বায়েজিদ থানায় ৮টি অস্ত্র ও ৪০৫ রাউন্ড গুলি, ডবলমুরিং থানায় ১৯টি অস্ত্র ও ১ হাজার রাউন্ড গুলি, হালিশহর থানায় ১৭টি অস্ত্র ও ৮৭০ রাউন্ড গুলি, পাহাড়তলী থানায় ৯টি অস্ত্র ও ৮২৮ রাউন্ড গুলি, আকবরশাহ থানায় ২টি অস্ত্র ও ১১৬ রাউন্ড গুলি, বন্দর থানায় ১২টি অস্ত্র ও ৩২৬ রাউন্ড গুলি, ইপিজেড থানায় ৭টি অস্ত্র ও ৪৫৩ রাউন্ড গুলি, পতেঙ্গা থানায় ৩টি অস্ত্র ও ১৫৩ রাউন্ড গুলি এবং কর্ণফুলী থানায় ৭টি অস্ত্র ও ৪০২ রাউন্ড গুলি জমা দেয়া হয়েছে।
খুলশী থানায় জমাকৃত ৭০টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৬টি খুলশী থানার লাইসেন্সপ্রাপ্ত, বাকিগুলোর মধ্যে সিএমপির বিভিন্ন থানার ৪টি ও অন্যান্য জেলার ২০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রয়েছে। নোয়াখালী জেলার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২টি অস্ত্র ডবলমুরিং থানায় জমা হয়েছে। পাহাড়তলী থানার অনুকূলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১টি অস্ত্র ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় জমা আছে, আরেকটি অস্ত্র সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় জমা আছে।
আকবরশাহ থানার অনুকূলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১টি অস্ত্র সীতাকুণ্ড থানায় জমা হয়েছে, অপরদিকে সীতাকুণ্ড থানার অনুকূলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১টি অস্ত্র আকবরশাহ থানায় জমা হয়েছে। কর্ণফুলী থানার ২টি অস্ত্র ডবলমুরিং থানায় ও ১টি অস্ত্র খুলশী থানায় জমা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোতোয়ালী থানা এলাকায় ৭৯টি, বাকলিয়া থানা এলাকায় ৫টি, সদরঘাট থানা এলাকায় ২৬টি, চকবাজার থানা এলাকায় ৩৫টি, চান্দগাঁও থানা এলাকায় ২৪টি, পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ৬০টি, খুলশী থানা এলাকায় ৯৩টি, বায়েজিদ থানা এলাকায় ৩২টি, ডবলমুরিং থানা এলাকায় ৩৫টি, হালিশহর থানা এলাকায় ২১টি, পাহাড়তলী থানা এলাকায় ১২টি, আকবর শাহ থানা এলাকায় ৩টি, বন্দর থানা এলাকায় ১২টি, ইপিজেড থানা এলাকায় ৭টি, পতেঙ্গা থানা এলাকায় ৩টি এবং কর্ণফুলী থানা এলাকায় ৭টি মিলে সর্বমোট ৪৫৪টি অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, সরকারের নির্দেশ মেনে যারা অস্ত্র জমা দেননি সেগুলো উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।