নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে সাজাতে হবে : মেয়র

দক্ষিণ কোরিয়া পরামর্শক দলের সাথে বৈঠক

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৪ জুলাই, ২০২৩ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। এ বর্জ্য কেবল অপসারণ করলেই হবে না। তাই বর্জ্য থেকে কীভাবে জ্বালানি উৎপাদন করা যায় এবং দূষকের নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই আমি। গতকাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যৌথ পরামর্শক দলের সাথে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।

টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় চসিকের বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং তা কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলটি জানায়, বর্তমানে চসিক সব ধরনের বর্জ্য একসাথে সংগ্রহ করায় পুন:ব্যবহারের হার মাত্র ৮১০ শতাংশ। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করাও অনেক জটিল ও পরিবেশবান্ধব নয়। বর্জ্যকে শহর থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে এনে রাখলে নগর পরিস্কার থাকলেও তা থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস ও জলীয় পদার্থ নিঃসরিত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে। এক্ষেত্রে কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালে চসিক বর্জ্যকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবস্থাপনা করতে পারে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম। দ. কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দ. কোরিয়ার কিয়ুঙয়োন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিয়ুঙ হি ইয়ুন, দি হ্যাম সোলজ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিনহিয়ুন ক্যাং, কোরিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস এর ম্যানেজার জিওংওয়াং হোং।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্বশুরবাড়িতে দরজা বন্ধ করে ফাঁস দিলেন জামাই
পরবর্তী নিবন্ধআসর শেষে বাগানের কলা গাছ কেটে গেল মাদকসেবীরা