নগরীর দশ সরকারি স্কুল ভর্তিতে লটারি ভাগ্যে জয়ী ৪ হাজার ১ শিক্ষার্থী

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

সরকারি স্কুলের ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবাইটে (http://www.gsa.teletalk.com.bd) এ ফল প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর আগে এই ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনের পর ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ইউজার আইডি প্রদানের মাধ্যমে এ ফল জানার সুযোগ পেয়েছে ভর্তিচ্ছুরা। লটারি ভাগ্যে জয়ী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর দশটি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য মোট ৪ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলাপ্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নগরীর দশ সরকারি স্কুলের ৫ম শ্রেণিতে ২ হাজার, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৮০৩, ৭ম শ্রেণিতে ২০, ৮ম শ্রেণিতে ২১০ এবং নবম শ্রেণিতে ৯৬৮টি আসন শূন্য রয়েছে। লটারি ভাগ্যে জয়ী শিক্ষার্থীরা শূন্য এসব আসনে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা মহামারীতে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভর্তি যুদ্ধের স্থলে এবার ভাগ্যের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। ডিজিটাল লটারি হিসেবে এ ভাগ্যের লড়াই অনুষ্ঠিত হল গতকাল সোমবার বিকেলে। এই ডিজিটাল লটারির মাধ্যমেই সারা দেশের ৩৯০টি সরকারি স্কুলের ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি ভর্তিতে মোট ৭৭ হাজার ১৪০ জন শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর দশটি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য মোট ৪ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে।
এদিকে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয়ভাবে এই ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধনে অনুষ্ঠানের আয়েজন করে মাউশি। প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিশেষ অতিথি ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও লটারি কার্যক্রম মাউশির ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি (লাইভ) দেখানো হয়।
মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে সারাদেশে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৩৯০টি। এসব স্কুলের মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি আসনের বিপরীতে এবার ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩১১টি আবেদন পড়ে। আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সফটওয়ারে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শূন্য আসনের সমান সংখ্যক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। পরে রাতে অপেক্ষমান তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশু একাডেমীতে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে হবে রেলের আইকনিক স্টেশন