ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ডিজেল চালিত বাসের ভাড়া গড়ে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ভাড়া গড়ে ২৭ শতাংশ এবং মহানগর এলাকার বাস ভাড়া ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে তা কার্যকর হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বর্ধিত ভাড়া গ্যাস, অকটেন ও পেট্রোল চালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
বর্ধিত ভাড়া নিয়ে ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চট্টগ্রামেও গ্যাস (সিএনজি) চালিত কোনো যানবাহনের ভাড়া বাড়বে না। চট্টগ্রামে সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃজেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসগুলো ডিজেল চালিত হলেও নগরীর বেশিরভাগ যানবাহন সিএনজি চালিত। এর মধ্যে গ্যাস চালিত যানবাহনের মধ্যে টেঙি, টেম্পো, মিনিবাস, ফোর হুইলার (রাইডার) ও বাস রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে ১৩ হাজার টেঙি রয়েছে। সবগুলোই সিএনজি চালিত। বাস-মিনিবাসের ১৫ রুট, হিউম্যান হলারের ১৭ রুটে প্রায় তিন হাজার যানবাহন চলাচল করে। বাস-মিনিবাসের মধ্যে প্রায় অর্ধেক এবং হিউম্যান হলার রুটের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সিএনজি চালিত। অন্যদিকে টেম্পো-অটোটেম্পোর ২২টি রুটে প্রায় দুই হাজার যানবাহন চলাচল করে, যার বেশিরভাগই সিএনজি ও পেট্রোল চালিত। কিছু অটোটেম্পো রয়েছে ডিজেল চালিত।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল বলেন, নগরীতে বিভিন্ন রুটে যেসব বাস-মিনিবাস চলে তার বেশিরভাগ ডিজেল চালিত। তবে কিছু সিএনজি চালিত রয়েছে। আবার হিউম্যান হলারের রুটগুলোতে যেসব গাড়ি চলে তার মধ্যেও অনেক ডিজেল চালিত রয়েছে। এখন সরকারিভাবে ডিজেল চালিত যানবাহনের ভাড়া বাড়ানোর কারণে গ্যাস চালিত যানবাহনগুলোর বর্ধিত ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা যেসব গাড়ি গ্যাস ও ডিজেলে চলে সেগুলোতে স্টিকার লাগিয়ে দেব, যাতে যাত্রীরা চিহ্নিত করতে পারেন। সিএনজি চালিত গাড়ি বর্ধিত ভাড়া নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিলে তার দায় আমরা নেব না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ আজাদীকে বলেন, সিএনজি চালিত কোনো বাসের ভাড়া বাড়বে না। সিএনজি চালিত বাস-মিনিবাসের সমিতিগুলোকে সে বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। সিএনজি চালিত এবং ডিজেল চালিত বাসগুলোতে পৃথক চিহ্ন লাগানো হবে। এ বিষয়ে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত মনিটরিং করলে রাস্তায় ভাড়া নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এ বিষয়ে বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজাদীকে বলেন, সরকার শুধুমাত্র ডিজেল চালিত যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়েছে। গ্যাস, পেট্রোল, অকটেন চালিত কোনো যানবাহনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এখন যেসব রুটে গ্যাস দিয়ে চলাচল করা যানবাহন রয়েছে, সেসব রুটে কঠোর মনিটরিং করা হবে। তারা বর্ধিত ভাড়া নিলে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন ভঙ্গকারীদের জেল-জরিমানার আওতায় আনা হবে।